বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্বকাপ জিততে ২৪১ দরকার অস্ট্রেলিয়ার

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক   
  • ১৯ নভেম্বর, ২০২৩ ১৮:৩০

গুজরাটের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের যে পিচে আজ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি হচ্ছে, তাতে ব্যাটার ও বোলার- দুপক্ষের জন্যই ভালো করার সমান সুযোগ রয়েছে। তবে প্রথমে বোলিং করে পূর্ণ ফায়দা তুলে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা।

গুজরাটের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের যে পিচে আজ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি হচ্ছে, তাতে ব্যাটার ও বোলার- দুপক্ষের জন্যই ভালো করার সমান সুযোগ রয়েছে। তবে প্রথমে বোলিং করে পূর্ণ ফায়দা তুলে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা।

রোববার বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে রোহিত শর্মার ভারত। তবে অজি বোলারদের তাণ্ডবে ২৪০ রানে গুটিয়ে গেছে তাদের ইনিংস। এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে হলে বল হাতে ২৪০-এর আগেই অস্ট্রেলিয়াকে আটকাতে হবে ভারতীয় বোলারদের।

এদিন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেছেন লোকেশ রাহুল। এ রান করতে তিনি মোকাবিলা করেছেন ১০৭ বল। এ ছাড়া বিরাট কোহলি ৫৪ ও অধিনায়ক রোহিত করেছেন ৪৭ রান।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। প্যাট কামিন্স ও জশ হেজলউড পেয়েছেন দুটি করে উইকেটের দেখা।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস হারের পর ফাইনালেও টস ভাগ্য তাদের সঙ্গ দেয়নি। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন রোহিত। মাঝে পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে মিচেল স্টার্কের শর্ট অফ লেংথ ডেলিভারিটি সামনের পায়ের ওপর ভর করে পুল করতে গিয়ে অ্যাডাম জাম্পার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শুভমান গিল।

তিনি মাত্র চার রান করে ফিরে গেলেও রোহিতের ব্যাটিং ঝড়ে পাওয়ার প্লেতে ৮০ রান তোলে ভারত। তবে এরপরই নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভারতকে চেপে ধরে অস্ট্রেলিয়া। দশম ওভারের চতুর্থ বলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমান্তে ক্যাচ হয়ে ফেরেন রোহিত। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় মাত্র ৩১ বলে ৪৭ রান করেন ভারতীয় অধিনায়ক।

আসলে পাওয়ার প্লেতে রানের লাগাম টানতে অষ্টম ওভারেই ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে আসেন কামিন্স। প্রথম ওভারে সফলতা না পেলেও নিজের দ্বিতীয় ওভারেই রোহিতকে পকেটে ভরেন তিনি। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের পরের ওভারে টানা দুই বলে ছক্কা এবং চার মারেন রোহিত। পরের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে আবারও উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক। তবে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক না হওয়ায় ফিরে যেতে হয় হেডের দুর্দান্ত ক্যাচে।

এরপর অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আর গতি পায়নি ভারতের রানের চাকা। পরের ৪০ ওভারে তারা তুলেছে মোটে ১৬০ রান। এ ইনিংসে রোহিত ছাড়া আর কেউ ছক্কা মারতে পারেননি। পুরো ইনিংসে চার হয়েছে মাত্র ১৩টি।

রোহিতের পর ৩ বলে একটি চার মেরে ফিরে যান শ্রেয়াস আইয়ার। কামিন্সের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে জস ইংলিস উইকেটের পেছনে উইকেট বিলিয়েছেন শ্রেয়াস। এরপর রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে উইকেটে থিতু হয়ে জুটি বড় করতে মনোযোগী হন কোহলি। খানিকটা সফলও হন তারা। এ জুটি থেকে আসে ৬৭ রান। এর মধ্যে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন কোহলি।

তবে হাফ সেঞ্চুরির পর তাকে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে দেননি কামিন্স। ৬৩ বলে ৫৪ রান করা কোহলিকে বোল্ড করে দেন তিনি। এরপর রাহুলকে সঙ্গ দিতে ব্যাটিং লাইন আপে পরিবর্তন করে সুর্যকুমারের পরিবর্তে রবীন্দ্র জাদেজাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান রোহিত। কিন্তু এই জুটিও বেশি বড় হতে দেননি হেজলউড।

হেজলউডের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২২ বলে ৯ রান করা জাদেজা।

এরপর ধীরগতির ইনিংস খেলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর ৬৬ রান করে ফেরেন রাহুল। স্টার্কের গুড লেংথের ডেলিভারিতে রিভার্স শট খেলতে গিয়ে আউটসাইড এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনিও।

এরপর মোহাম্মদ শামিকেও আউট করেন স্টার্ক। খানিক বাদে অ্যাডাম জ্যাম্পার শিকার হয়ে জসপ্রিত বুমরাহ এলবিডব্লিউ হলে ভারতের ইনিংস আর বেশিদূর এগোতে পারেনি।

ভারতের শেষ ভরসা সূর্যকুমার যাদব আউট হন মাত্র ১৮ রান করে। ফলে আড়াইশ রানের কোটা পার হতে পারেনি ভারত।

এদিন উইকেটের পেছনে পাঁচটি ক্যাচ নিয়ে বিরল এক কীর্তি গড়েছেন ইংলিস। বিশ্বকাপ ফাইনালে পাঁচ ক্যাচ নেয়া প্রথম ক্রিকেটার তিনি। আগের ১২ আসরের ফাইনালে সর্বোচ্চ ৩টি করে নেয়া কীর্তি রয়েছে রডনি মার্শ (১৯৭৫), মইন খান (১৯৯৯) ও টম ল্যাথামের (২০১৯)।

এ বিভাগের আরো খবর