বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কিউইদের জয়ে টাইগারদের হাসি, দুশ্চিন্তায় পাকিস্তান আফগানিস্তান

  •    
  • ৯ নভেম্বর, ২০২৩ ২১:৩৮

শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট পেলে ইংল্যান্ডকে ২৮৭ রানে হারাতে হবে পাকিস্তানকে। আর আফগানদের জন্য এ সমীকরণ ৪৩৮ রানের। সেটিও করতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

সেমিফাইনালের হিসাব-নিকাশে টিকে থাকতে হলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না নিউজিল্যান্ডের। তবে সে পরীক্ষায় শুধু ভালোভাবেই পাসই করেননি, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো সেমির প্রতিযোগিতায় এখনও যারা টিকে রয়েছে, তাদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছেন উইলিয়ামসন অ্যান্ড কোং।

শ্রীলঙ্কার দেয়া ১৭২ রানে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২৩.২ ওভারেই তা পার করে নিউজিল্যান্ড। পাঁচ উইকেটের জয়ের এ ম্যাচে কেউ অর্ধশতকও হাঁকাতে না পারলেও তিনটি চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসে লঙ্কানদের বধ করে কিউইরা।

এ জয়ের ফলে রানরেটেও বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ফলে পাকিস্তানের বেড়েছে দুশ্চিন্তা। কারণ নিউজিল্যান্ডকে টপকে সেমিফাইনালের টিকিট কাটতে হলে এখন তাদের রান রেটও টপকে যেতে হবে বাবর আজমদের। অর্থ্যাৎ বিশাল ব্যবধানে জয়ের বিকল্প নেই পাকিস্তানের।

আট ম্যাচে পাকিস্তানের নেট রান রেট +০.০৩৬, অন্যদিকে গ্রুপপর্বের সবগুলো ম্যাচ খেলে নিউজিল্যান্ডের নেট রান রেট +০.৭৪৩। সেক্ষেত্রে শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট পেলে ইংল্যান্ডকে ২৮৭ রানে হারাতে হবে পাকিস্তানকে।

নিউজিল্যান্ডের এমন জয়ে দুশ্চিন্তা বেড়েছে আফগানিস্তানেরও। আসলে তাদের সেমির বিমান ধরা এক প্রকার অনিশ্চিত হয়ে গেছে। কারণ রানের হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের হারাতে হবে ৪৩৮ রানের ব্যবধানে।

অন্যদিকে, বড় ব্যবধানে হেরে নেট রান রেটও অনেকটা কমে গিয়েছে শ্রীলঙ্কার। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণের প্রতিযোগিতায়ও পিছিয়ে গেছে তারা। এক্ষেত্রে লাভবান হয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারলেও রান রেটে এগিয়ে থেকে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার সুযোগ থাকবে টাইগারদের। এক্ষেত্রে অবশ্য জয়ের লক্ষ্য নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে হবে বাংলাদেশের, তবে হারলেও সেটি যেন বড় ব্যবধানে না হয়, সেদিকটাও মাথায় রাখতে হবে।

২৭২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। দলীয় ৮৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪৫ রান করে ফিরে যান কনওয়ে। পরের ওভারে দলীয় মাত্র দুই রানের ব্যবধানে সাজঘরের পথ ধরেন রাচিনও। ৩৪ বল খেলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৪২ রান করেন তিনি। এরপর ডেরিল মিচেলকে নিয়ে হাল ধরেন অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। কিন্তু কিউই অধিনায়কের ইনিংসটি বেশি বড় করতে দেননি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ব্যক্তিগত ১৪ রানের মাথায় কেইনকে বোল্ড করে ফেরান তিনি।

দুই ওভার পর রান আউটের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মার্ক চ্যাপম্যানও। এরপর ডেরিলকে সঙ্গ দেন গ্লেন ফিলিপস। ৩১ বলে ৪৩ রান করে ডেরিল আউট হয়ে গেলে বাকি কাজটুকু সারেন ফিলিপস ও ল্যাথাম।

ফিলিপস ১৭ ও ল্যাথাম ২ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এদিন শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। দুশমন্ত চামিরা ও মাহিশ থিকশানা পেয়েছেন একটি করে উইকেটের দেখা।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। সে বিপর্যয় আর সামাল দিতে পারেননি দলটির মিডল অর্ডার ও লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। শেষ দিকে কেবল ইনিংস বড় করতে ভূমিকা রাখেন মাহিশ থিকশানা।

শেষ পর্যন্ত ৪৬.৩ ওভারে ১৭১ রানে অল আউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। কুশল পেরেরা ২৮ বলে ৫১ রান করেন। আর শেষদিকে ৯১ বল মোকাবিলা ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মাহিশ থিকশানা।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া দুটি করে উইকেট পান লকি ফার্গুসন, মিচেল সান্টনার ও রাচিন রবীন্দ্র। বাকি উইকেটটি নেন টিম সাউদি।

এ বিভাগের আরো খবর