বেন স্টোকসের ঝোড়ো সেঞ্চুরির পর আদিল রশিদ ও মঈন আলির ৩টি করে পাওয়া উইকেটে বড় জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আশা বাঁচিয়ে রেখেছে ইংল্যান্ড। বুধবার বিশ্বকাপে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ১৬০ রানে হারিয়েছে জস বাটলার বাহিনী।
পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে এ দিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৭.২ ওভারে মাত্র ১৭৯ রানেই গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। ইংল্যান্ডের পক্ষে সেঞ্চুরি করার সুবাদে ম্যাচসেরা হন বেন স্টোকস।
লক্ষ্য তাড়ায় খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। দলীয় ১২ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ১১ বলে ৫ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড। এরপর ওয়ানডাউনে নেমে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন কলিন আকারম্যান।
চারে নেমে ওপেনার ওয়েসলে বারেসির সঙ্গে কিছুক্ষণ থিতু হন অ্যাঙ্গলব্রেখট। তবে রানআউট হয়ে বারেসি ৩৭-এ ফিরে গেলে ভাঙে জুটি। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অ্যাঙ্গলব্রেখটও। তিনি বিদায় নেন ৩৩ রান করে। এরপর বাস ডি লিড এসে করেন ১০ রান।
ষষ্ঠ উইকেটে স্কট এডওয়ার্ডসের সঙ্গে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৫৯ রানের জুটি গড়েন তেজা নিদামানুরু। এডওয়ার্ডসকে ৩৮ রানে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন মঈন। পরে নিদামানুরু ছাড়া আর কেউ টিকতে পারেননি। অপরাজিত থাকা নিদামানুরু করেন ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান।
ইংলিশদের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন রশিদ ও মঈন। জোড়া উইকেট পান ডেভিড উইলি। একটি উইকেট নেন ক্রিস ওকস।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ডকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান। তাদের দুজনের ব্যাটে বেশ ভালোভাবেই এগোতে থাকে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। বেয়ারস্টো সেভাবে ছন্দ খুঁজে না পেলেও অন্যপ্রা ন্তে দ্রুত রান তুলতে থাকেন মালান। ইনিংসের সপ্তম ওভারে দলীয় ৪৮ রানে বেয়ারেস্টো আউট হন। সাজঘরে ফেরার আগে ১৭ বলে ১৫ রান করেন তিনি।
এরপর ওয়ানডাউনে নামা জো রুটকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস বড় করতে থাকেন মালান। এর মধ্য ফিফটিও তুলে নেন তিনি। তবে ভালো শুরুর আভাস দিয়েও এ দিন হতাশ করেন রুট। আউট হন ৩৫ বলে ২৮ রান করে।
ফিফটির পর সেঞ্চুরির দিকে ছুটতে থাকেন মালান। তবে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পাননি তিনি। দলের ১৪৯ রানের মাথায় ৭৪ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হন।
বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পাঁচে নামা হ্যারি ব্রুক। তার ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। আরও একবার ব্যর্থ হন অধিনায়ক জস বাটলার। সাজঘরে ফেরেন মাত্র ৫ রান করে। ব্যর্থতার পাল্লা ভারী করেন মঈন আলিও। ফেরেন মাত্র ৪ রানে।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ৫৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন স্টোকস। ক্রিস ওকসকে সঙ্গে নিয়ে শেষ দিকে গড়েন শতরানের জুটি। চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দিয়ে ৭৮ বলে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান অবসর ভেঙে ফেরা স্টোকস। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেন ওকস। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর তিনি আউট হন ৪৫ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে।
শেষ ওভারে এসে আউট হন স্টোকস। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে খেলেন ৮৪ বলে ১০৮ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস। নেদারল্যান্ডসের হয়ে ডি লিড তিনটি এবং দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আরিয়ান ও ভ্যান বিক।