২৯৭ রানের লক্ষ্য। ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শের উদ্বোধনী জুটি ৭ ওভারেই তুলে ফেলে ৬০ রান। সেখান থেকেই ১৬.২ ওভারে ৮৯/৬ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর। ২৬ বলের মধ্যে ৫ উইকেট নিয়ে যে ধ্বংসযজ্ঞে নেতৃত্ব দেন কেশব মহারাজ। দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি স্পিনার আর উইকেট না পেলেও তার দল ৯৮ রানের জয়ে এগিয়ে গেছে সিরিজে।
রাজকীয় সেই পারফরম্যান্স দিয়েই আবার ওয়ানডে বোলিং র্যাঙ্কিংয়ের ১ নম্বরে উঠে এসেছেন মহারাজ। ৩৫ বছর বয়সি মহারাজ এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে কিছুদিনের জন্য শীর্ষে ছিলেন। এবার তিনি ভারতের কুলদীপ যাদব ও শ্রীলঙ্কার মহীশ তিকশানাকে টপকে আবার ১ নম্বর হলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার জেইডেন সিলসও বড় লাফ দিয়েছেন র্যাঙ্কিংয়ে। পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে ১৮ রানে ৬ উইকেট নেওয়ার পর ১৫ ধাপ এগিয়ে তিনি এখন ১৮ নম্বরে। পাকিস্তানের লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ ১৫ ধাপ এগিয়ে যৌথভাবে ৩৯তম এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের অফ স্পিনার রোস্টন চেজ ৫ ধাপ এগিয়ে ৫৮তম স্থানে উঠেছেন।
ওয়ানডে ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়েও এসেছে কিছু পরিবর্তন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে অপরাজিত ১২০ রানের ইনিংস খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ দুই ধাপ এগিয়ে নবম স্থানে ওঠে এসেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করাম চার ধাপ এগিয়ে ২১তম, টেম্বা বাভুমা পাঁচ ধাপ এগিয়ে ২৩তম আর অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ ছয় ধাপ এগিয়ে ৪৮তম স্থানে উঠেছেন। ওয়ানডে ব্যাটিংয়ে শীর্ষে আছেন ভারতের শুবমান গিল।
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়েও উন্নতি হয়েছে বেশ কয়েকজনের। দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভাল্ড ব্রেভিস ৯ ধাপ এগিয়ে ১২তম স্থানে ওঠে এসেছেন। অস্ট্রেলিয়ার মার্শ চার ধাপ এগিয়ে ২৫তম ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১০ ধাপ এগিয়ে ৩০তম স্থানে উঠেছেন।
টি-টোয়েন্টি বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার দুই পেসার নাথান এলিস তিন ধাপ এগিয়ে নবম স্থানে, জশ হ্যাজলউড দুই ধাপ এগিয়ে ১৮তম স্থানে ওঠে এসেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা ৪৪তম থেকে ওঠে এসেছেন ৩৭তম স্থানে।