বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৩৩ রানে হেরে ইংল্যান্ডের বিদায়, সেমির পথে অস্ট্রেলিয়া

  •    
  • ৪ নভেম্বর, ২০২৩ ২৩:২৯

ব্যাটে-বলে দৃঢ়তার অভাবে এবারের আসরে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি ইংল্যান্ড। ফলে আগেভাগেই বিদায় নিতে হলো তাদের।

গতবারের সেই স্মরণীয় ফাইনাল জিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া ইংল্যান্ড এবার গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গেল; তাও আগেভাগেই। ব্যাটে-বলে দৃঢ়তার অভাবে এবারের আসরে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি তারা। আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও দেখা গেল একই চিত্র।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২৮৬ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। ২৮৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৫৩ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। ফলে ৩৩ রানের জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

এদিন ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংস খেলেছেন বেন স্টোকস। এছাড়া ডাউইড মালানের ৫০ ও মঈন আলীর ৪২ ছাড়া তেমন কেউই উইকেটে দাঁড়াতে পারেননি।

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজলউড ও প্যাট কামিন্স।

মিডল অর্ডারে ইংল্যান্ডের কোমর ভেঙে ম্যাচসেরা হয়েছেন জ্যাম্পা।

নিজের পরপর তিন ওভারে ইংল্যান্ডের চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেট নিয়ে ইংলিশদের কোমর ভেঙে দেন অ্যাডাম জ্যাম্পা। ছবি: ক্রিকইনফো

২৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম বলেই উইকেট খোয়ায় ইংল্যান্ড। মিচেল স্টার্কের খুবই সাধারণ একটি ডেলিভারিতে খোঁচা দিয়ে কট বিহাইন্ড হয়ে যান জনি বেয়ারস্টো। জনি ডাক মেরে ফিরলে উইকেটের পতন দিয়ে শুরু হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস।

এরপর পঞ্চম ওভারেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সেই স্টার্কের ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে আউট সাউড অফের ডেলিভারিতে স্টিয়ার করতে গিয়ে জস ইংলিশের গ্লাভসবন্দি হন জো রুট। যদিও শুরুতে আম্পায়ার আউট দেননি। তবে রিভিউ নিয়ে সফল হয় অস্ট্রেলিয়া। ফলে ১৭ বলে ১৩ রান করে ফিরতে হয় রুটকে।

দলীয় ১৯ রানে দুই উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে তখন চেপে ধরে অজিরা। ন্যারো ফিল্ড সাজিয়ে ডাউইড মালান ও বেন স্টোকসের কাছ থেকে ভুলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন ফিল্ডাররা। ফলে রানের চাকা একেবারে শ্লথ হয়ে যায়।

স্টার্ক টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে ফেরানোর পর ইংল্যান্ডকে চেপে ধরে অস্ট্রেলিয়া। ছবি: ক্রিকইনফো

চাপ সামলে প্রথম দশ ওভারে আর উইকেট না হারিয়ে ৩৮ রান তোলে ইংল্যান্ড। পরে মাঠ বড় হলে স্ট্রাইক রোটেশনে মনোযোগী হন দুই ব্যাটার। দলীয় স্কোর এক শ পার করার পর বিদায় নেন ডাউইড মালান।

এর মধ্যে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মালান। ১০৩ রানের মাথায় মালান আউট হলে ১০৬ রানে ব্যক্তিগত ১ রান করে বিদায় নেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। এরপর মঈন আলীকে নিয়ে আরেকটি বড় জুটি গড়েন বেন স্টোকস।

৯০ বলে ৬৪ রান করে স্টোকস আউট হন। অ্যাডাম জ্যাম্পার বলে স্টয়িনিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তবে স্টোকস সাজঘরে ফিরলে জ্যাম্পার পরের ওভারেই ২ রান করে আউট হন লিয়াম লিভিংস্টোন। তার পরের ওভারেও আবার উইকেট পান জ্যাম্পা। এবার ৪২ রান করা মঈনকে ফেরান তিনি। ফলে ইংল্যান্ডের জয়ের আশা একপ্রকার শেষ হয়ে যায়।

শেষদিকের ব্যাটাররা শুধু হারের ব্যবধান কমান। শেষ পর্যন্ত ৪৮.১ ওভারে ২৫৩ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস।

এ হারের ফলে বাংলাদেশের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্ব ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চ থেকে এবার শুরুতেই বিদায় নিল গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আর পাঁচ জয়ে সেমিফাইনালের দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।

অসাধারণ বোলিং আর ফিল্ডিং নৈপুণ্যে ইংলিশদের হারাতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি অজিদের। ছবি: ক্রিকইনফো

এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে খেলতে নেমে টস হারে অস্ট্রেলিয়া। পরে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতেই ২৮৬ রানে গুটিয়ে যায়।

অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন মারনাস লেবুশেন। ৮৩ বল মোকাবিলা করে ৭ চারের সাহায্যে ৭১ রান করেন তিনি। এছাড়া ক্যামেরন গ্রিন ৪৭ ও স্টিভেন স্মিথ ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন।

ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন ক্রিস ওকস। দুটি করে উইকেট নেন মার্ক উড ও আদিল রশিদ।

অস্ট্রেলিয়াকে তিন শর আগে গুটিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন ক্রিস ওকস। ছবি: নিউজবাংলা

এদিন ব্যাট করতে নেমে ষষ্ঠ ওভারের মধ্যেই দুই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ১১ রান করে ট্রেভিস হেড ও ৫.৪তম ওভারে ১৫ রান করে ডেভিড ওয়ার্নার ফিরে গেলে দলীয় ৩৮ রানে দুই উইকেট হারায় অজিরা। দুটি উইকেটই নেন ক্রিস ওকস।

এতে বেশ খানিকটা চাপে পড়ে যায় প্যাট কামিন্সের দল। তবে শুরুর সে চাপ ভালোভাবে সামাল দিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে ওঠান স্টিভেন স্মিথ ও লেবুশেন।

চাপ সামাল দিয়ে দলকে সম্মানজনক স্কোর গড়তে লেবুশেনের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। ছবি: ক্রিকইনফো

দলকে ৭৫ রানের জুটি উপহার দিয়ে ৪৪ রান করে স্মিথ ফিরে গেলে উইকেটরক্ষক জস ইংলিশও উইকেটে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। আদিল রশিদের পরপর দুই ওভারে সাজঘরে ফেরেন স্মিথ ও ইংলিশ। ফলে আবার ব্যাকফুটে চলে যায় অস্ট্রেলিয়া।

এরপর ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়েন লেবুশেন। ৬১ রানের জুটি গড়ে ৩৩তম ওভারের শেষ বলে লেগ বিফোর হয়ে ফিরতে হয় লেবুশেনকে। মার্ক উডের উইকেটের ভেতরে ঢোকা লেংথ ডেলিভারিটি কাট করতে গিয়ে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে বল প্যাডে আঘাত করলে ফিল্ডারদের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার।

এরপর ক্যামেরন গ্রিন ও মার্কাস স্টইনিস মিলে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াকু পুঁজি এনে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন। রানের গতি সচল রাখলেও উইকেটের পতন থামাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ফলে ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস।

এ বিভাগের আরো খবর