বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উইলিয়ামসন, মিচেলের ব্যাটে নিউজিল্যান্ডের তিনে তিন

  •    
  • ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ ২২:৩২

ইনজুরি কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে ফেরেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ফিরেই ৭৮ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। তবে ব্যাটিংয়ের সময় আবারও বাঁ হাতের বুড়ো আঙ্গুলে ব্যথা অনুভব করায় রিটায়ার করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।

২৪৬ রানের লক্ষ্যটা শুরুতে নিউজিল্যান্ডের জন্য বেশ বড় বলে মনে হলেও টাইগার ভক্তদের সব আশা ম্লান হয়েছে। শুরুর দিকে একটি উইকেট পাওয়ার পর আগুনে বোলিংয়ে কিউই ব্যাটারদের ব্যাটে রানের লাগাম টানতে পারলেও উইকেট নিতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব, মোস্তাফিজরা। ফল যা হওয়ার তাই; আট উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।

টস হেরে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ২৪৬ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। জবাবে ৪২.৫ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা।

ইনজুরি কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে ফেরেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ফিরেই ৭৮ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। তবে ব্যাটিংয়ের সময় আবারও বাঁ হাতের বুড়ো আঙ্গুলে ব্যথা অনুভব করায় রিটায়ার করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।

লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দেখেশুনে খেলতে থাকেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। ভালো লাইন-লেংথে বল করে তৃতীয় ওভারে রাচিন রবিন্দ্রকে আউট করেন মোস্তাফিজ। তবে এর পর আউট হওয়ার কথা ভুলে যান কিউই ব্যাটাররা। রান তোলার গতি শুরুতে কম থাকলেও সময়ের সঙ্গে তা বাড়তে থাকে।

দলীয় ৯২ রানের মাথায় ডেভন কনওয়েকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে পাঠান সাকিব। এরপর ডেরিল মিচেলকে নিয়ে এগোতে থাকেন উইলিয়ামসন। পরে দলের রান ২০০ পার করে বিদায় নেন তিনি। উইলিয়ামসন ফিরে গেলে বাকি কাজটুকু সারেন মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস।

৪৩ বল বাকি থাকতেই ডেরিল মিচেল ৮৯ ও গ্লেন ফিলিপস ১৬ রান করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। এর ফলে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচের তিনটিই জিতে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল নিউজিল্যান্ড।

এর আগে নিউজিল্যান্ডের বোলিং তোপে ইনিংসের শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। মুশফিক ও সাকিব মাঝে উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি তারাও। একসময় মনে হচ্ছিল, দুইশ বা এর খুব বেশি রান তুলতে পারবে না টাইগাররা। তবে মাহমুদুল্লার ব্যাটিং দৃঢ়তায় ২৪৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

তৃতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশের টপ অর্ডারের হার জিরজিরে চেহারা ফুটে উঠেছে স্পষ্টভাবে। কিউই পেসারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্তরা।

লিটন তো আজ প্রথম বলে ডাক মেরে ফিরেছেন। ট্রেন্ট বোল্টের লেংথ ডেলিভারিতে ক্রিজ থেকে বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মেরেছিলেন লিটন দাস। তবে ডিপ ফাইন লেগে ম্যাট হেনরি জায়গা মতো থাকায় ক্যাচটি লুফে নিতে বেশি বেগ পেতে হয়নি। ফলে নিজের জন্মদিনে গোল্ডেন ডাক মারার বিরল কীর্তি গড়েছেন লিটন।

লিটন ফেরার পর বোল্টের বলে চার মেরে রানের খাতা খোলেন তানজিদ হাসান তামিম। আজকে তানজিদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল নিজের ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন তিনি। তবে তরুণ এই ওপেনারকে ইনিংস বড় করতে দেননি লকি ফার্গুসন। লকির ফুল লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে থাকা ডেভন কনওয়ের হাতে ধরা পড়েন তানজিদ। ফলে ১৬ রান করে ফিরতে হয় তাকে।

আজ তিনে নেমে ভালো শুরু করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বিপর্যয় বেশ ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছিলেন তিনি। তবে ৩০ রান করতে না করতেই তাকে থামিয়েছেন ফার্গুসন।

মিরাজের আউট হওয়ার পরপরই সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ৭ রান করে আউট হলে ৫৬ রানের মাথায় ৩ ও ৪ নম্বর উইকেট হারিয়ে আবারও ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। এরপর বাংলাদেশকে টেনে তোলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। এর মধ্যে ৫২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন মুশফিক। তবে এর কিছু পর ফার্গুসনের ওপর চড়াও হতে গিয়ে আউট হন সাকিব। তিনি ৪০ রান করে ফিরলে ৯৬ রানের জুটি ভাঙে বাংলাদেশের।

সাকিব সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর তৌহীদ হৃদয়কে নিয়ে ধীরে ধীরে এগোচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু তিনিও শেষ পর্যন্ত ফিরে যান। ম্যাট হেনরির নিচু হওয়া বলটিতে পুরোপুরি পরাস্ত হন টাইগার উইকেটরক্ষক। ফলে ব্যাটে-বলে করতে না পেরে মাটিতে পড়ে যান তিনি। আর উইটেক উপড়ে দিয়ে চলে যায় বল।

ফেরার আগে ৭৫ বল খেলে ৬৬ রান করেন মুশফিক। তার ইনিংসটি ছিল দুটি ছক্কা ও ৬টি চারের মারে সাজানো।

মুশফিকের ফিরে যাওয়ার দুই ওভার পর আউট হয়েছেন তৌহীদ হৃদয়। ট্রেন বোল্টের আউটার লেংথের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে কভারে ক্যাচ দেন তৌহীদ। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা মিচেল স্যান্টনার ক্যাচটি লুফে নিলে ২৫ বলে ১৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে।

হৃদয়কে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন বোল্ট। আট নম্বরে নামা মাহমুদউল্লাহ এর পর থেকে উইকেটের একপাশ সামাল দেন। তাকে সঙ্গ দিয়ে ১৭ রান করে আউট হয়েছেন তাসকিন আহমেদ। পরে মোস্তাফিজুর রহমান ৪ রান করে আউট হন। শরীফুল ইসলাম শেষে এসে ৩ বলে ২ রান করেন। আর অভিজ্ঞতার ঝলক দেখিয়ে, প্রতিটি বলের প্রতি সুবিচার করে ৪১ রানের ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন মাহমুদুল্লাহ।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দশ ওভার বল করে লকি ফার্গুসন নিয়েছেন তিন উইকেট। তাছাড়া ট্রেন্ট বোল্ট ও ম্যাট হেনরি পেয়েছেন দুই করে উইকেটের দেখা।

লকি ফার্গুসন দারুণ বোলিংয়ের ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। ম্যাচসেরার পুরস্কার গেছে তার পকেটে।

এ বিভাগের আরো খবর