বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খেলার রাশ নিয়ন্ত্রণ চাবিকাঠি সবই ছিল ভারতের নিয়ন্ত্রণে

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১১ অক্টোবর, ২০২৩ ২৩:৫১

অধিনায়ক রোহিত শর্মার রেকর্ড সেঞ্চুরি ও বিরাট কোহলির হাফ সেঞ্চুরিতে চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেয়েছে ভারত। গতকাল বুধবার আফগানিস্তানকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। ৮৪ বলে ১৩১ রানের মারমুখী ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন রোহিত।

বিশ্বকাপের দশম ম্যাচে আজ বেলা ২টা ৩০ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচের চলতি ধারাবিবরণী সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ বেতার।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে গতকাল টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রানের সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে রোহিত-কোহলিরা।

লক্ষ্য তাড়ায় ভারতের উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওপেনার ও অধিনায়ক রোহিত। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন আরেক ওপেনার ইশান কিষান। ওপেনিং জুটিতে আসে ১৫৬ রান। মারমুখী হয়ে মাত্র ৩০ বলে ফিফটি তুলে নেন রোহিত। তবে ধীরগতিতে ব্যাটিং চালিয়ে যান কিষান।

এরপর রোহিত সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাত্র ৬৩ বলে। এর মাধ্যমে বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়েন এই ভারতীয় অধিনায়ক। চলমান বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই আইসিসির মেগা আসরটিতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল তার। তবে তার সঙ্গে সমান ৬টি সেঞ্চুরি নিয়ে রেকর্ড ভাগাভাগি করছিলেন স্বদেশি কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। বিশ্বকাপে ৪৪ ইনিংসে শচীন শতক হাঁকিয়েছিলেন ৬টি, বিপরীতে ১৯ ইনিংসেই সপ্তম ম্যাজিক ফিগারের দেখা পান রোহিত। একই সঙ্গে বিশ্বকাপে তার ১০০০ রানও পূর্ণ হয়। পাশাপাশি রিকি পন্টিংকে টপকে ওয়ানডেতে তৃতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির (৩১) মালিক হন তিনি।

রোহিতের সেঞ্চুরির পরপরই ৪৭ বলে ৪৭ রান করে রশিদ খানের শিকার হন কিষান। এরপর ক্রিজে আসেন বিরাট কোহলি। দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন তারা। তবে রোহিত থামেন রশিদের বলে বোল্ড হয়ে। ৮৪ বলে ১৩১ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

অধিনায়ক ফেরার পর বাকি কাজটা সারেন কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ার। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। ৫৫ বলে ক্যারিয়ারের ৬৮তম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান কোহলি। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৫৬ বলে ৫৫ রানে। আর আইয়ার অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ২৫ রান করে।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আফগানিস্তানকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ওপেনিং জুটিতে আসে ৪০ বলে ৩২ রান। দলীয় সপ্তম ওভারে ৪টি চারে ২৮ বলে ২২ রান করা ইব্রাহিমকে শিকার করে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন জাসপ্রিত বুমরাহ।

এরপর ওয়ানডাউনে নামা রহমত শাহকে নিয়েও বড় জুটির আভাস দেন গুরবাজ। এই জুটিতে আসে ৩৭ বলে ৩১ রান। এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার বলে আউট হন এই ওপেনার। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৮ বলে ২১ রান করেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরেই শার্দুল ঠাকুরের বলে ৩টি চারে ১৬ রানে আউট হন রহমত।

৬৩ রানে ৩ উইকেট পতনের পর সেঞ্চুরির জুটি গড়েন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদী ও টপ অর্ডার আজমতুল্লাহ ওমরজাই। চতুর্থ উইকেটে ১২৮ বলে ১২১ রান যোগ করেন তারা। ভারতীয় বোলারদের স্বাচ্ছন্দ্যে সামলে হাফ সেঞ্চুরির স্বাদ পান দুজনই। ওমরজাই ৬২ বলে এবং শাহিদী ৫৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন।

৩৫তম ওভারে পান্ডিয়ার শিকার হওয়ার আগে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬৯ বলে ৬২ রান করেন ওমারজাই। হাফ সেঞ্চুরির পরও ইনিংস বড় করতে থাকা শাহিদীকে ৪৩তম ওভারে লেগ বিফোর আউট করেন স্পিনার কুলদীপ। ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮৮ বলে ৮০ রান করেন শাহিদী।

দলীয় ২২৫ রানে শাহিদী ফেরার পর আফগানিস্তানকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা। মোহাম্মদ নবির ১৯, রশিদ খানের ১২ বলে ১৬, মুজিব-উর রহমানের ১২ বলে অপরাজিত ১০ এবং নাভিন উল হকের ৮ বলে অপরাজিত ৯ রানের ওপর ভর করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৭২ রানের সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান।

১০ ওভারে ৩৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ভারতের সফল বোলার বুমরাহ। ৪৩ রানে ২ উইকেট নেন পান্ডিয়া।

এ বিভাগের আরো খবর