প্রথম ইনিংসে ২৭২ রানের পুঁজি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলকই বলা চলে। রশিদ, নবিদের মতো বোলিং অ্যাটাক নিয়ে ভারতকে বেশ শক্ত টক্কর দেবে আফগানিস্তান- এমনই ভাবা হয়েছিল। কিন্তু সব হিসাব উল্টে দিয়েছেন হিটম্যান রোহিত শর্মা। ৬৩ বলে সেঞ্চুরির দিনে আফগানদের প্রতিরোধের কোনো সুযোগই দেননি তিনি।
২৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই উইকেট হারিয়ে ৩৫ ওভারেই তা পার করে ভারত। ব্যাট হতে রোহিত ৮৪ বল খেলে ১৩১ রান করেন। মারেন ৫টি ছক্কা ও ১৬টি চারের মার। এছাড়া বিরাট কোহলি অপরাজিত ৫৫ ও ওপেনার ইশান কিষান ৪৭ রান করেন। অপর অপরাজিত ব্যাটার শ্রেয়াস আইয়ার করে ২৫ রান।
আফগানিস্তানের হয়ে দুই উইকেউ নিয়েছেন রশিদ খান।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই আফগান বোলারদের ওপর চড়াও হন ভারতীয় অধিনায়ক। অপর প্রান্তে দেখেশুনে খেলছিলেন বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচে ‘ডাক’ মারা ইশান। প্রথম পাওয়ার প্লের দশ ওভারে ৯৪ রান তোলেন এই দুই ব্যাটার। ১৮.৪তম ওভারে ইশান আউট হলে ভাঙ্গে ভারতের ১৫৬ রানের উদ্বোধনী জুটি।
এর ক্রিজে আসেন বিরাট কোহলি। আক্রমণাত্মক রোহিতের সঙ্গে ধীর লয়ে খেলছিলেন তিনি। ২০৫ রানের মাথায় রোহিত ফিরলে রান তোলায় মনোযোগী হন কোহলি। শ্রেয়াস আইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস শেষ করার পরিকল্পনা করেন তিনি। কিন্তু শেষ ৩৫ ওভার শেষে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত।
এর আগে হাশমাতুল্লা শাহিদির ৮০ ও আজমতুল্লা ওমরজাইয়ের ৬২ রানে ভর করে আট উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান তুলতে সমর্থ হয় আফগানিস্তান।
এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ভালো শুরুর আভাসই দেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহীম জাদরান। তবে তাদের জুটি বেশি বড় করতে দেননি জসপ্রিত বুমরাহ। ডানহাতি এই পেসারের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে থাকা লোকেশ রাহুলের গ্লাভসে ক্যাচ দেন ২২ রান করা ইব্রাহীম। তার বিদায়ে ভাঙে গুরবাজের সঙ্গে ৩২ রানের উদ্বোধনী জুটি।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরপরই আউট হয়ে যান আরেক ওপেনার গুরবাজ। হার্দিক পান্ডিয়ার শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করেন গুরবাজ। ডিপ ফাইন লেগে থাকা শর্দুল ঠাকুর দারুণ দক্ষতায় ক্যাচ লুফে নেয়ায় সাজঘরে ফিরে যেতে হয় ২৮ বলে ২১ রান করে। ভালো শুরু পেয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি রহমত শাহও।
শর্দুলের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েছেন ১৬ রান করা এই ব্যাটার। এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন হাশমতউল্লাহ ও আজমতউল্লাহ। দারুণ ব্যাটিংয়ে তারা দুজন আফগানিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ভারতীয় বোলারদের সামাল দিয়ে ৬২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন আজমতউল্লাহ।
তাকে সঙ্গ দেয়া হাশমতউল্লাহ পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৫৮ বলে। তাদের দুজনের ১২১ রানের জুটি ভাঙেন হার্দিক। ডানহাতি এই পেসারের বলে আউটসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন ৬২ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার। এদিকে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৮৮ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন হাশমতউল্লাহ।
শেষ দিকে আর কেউ সেভাবে আলো ছড়াতে পারেননি। মোহাম্মদ নবি ১৯ এবং রশিদ খান ১৬ রান করলে ২৭২ রানে থামে আফগানিস্তানের ইনিংস।
দুর্দান্ত ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কার গিয়েছে রোহিত শর্মার পকেটে।