বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আফগান বধ করে টাইগারদের বিশ্বকাপ শুরু

  •    
  • ৭ অক্টোবর, ২০২৩ ১৬:৫৯

সাকিব-মিরাজের ঘুর্ণিতে দিশেহারা হয়ে ৩৭.২ ওভারে মাত্র ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানদের ইনিংস। পরে মিরাজ-শান্তর ব্যাটিং দৃঢ়তায় চার উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশের তরী।

বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে চারদিক থেকে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হতে হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। তবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই সব সমালোচনা ঠাণ্ডা করে দিয়েছেন টাইগাররা। বিশ্বকাপ মিশনের শুরুর ম্যাচেই ব্যাটে-বলে নৈপুণ্য দেখিয়ে আফগানদের বিপক্ষে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছেন সাকিব অ্যান্ড কোং।

এদিন টস জিতে আফগানিস্তানকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু সাকিব-মিরাজের ঘুর্ণিতে দিশেহারা হয়ে ৩৭.২ ওভারে মাত্র ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানদের ইনিংস। পরে মিরাজ-শান্তর ব্যাটিং দৃঢ়তায় চার উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশের তরী।

ছয় উইকেটের এই জয়ের দিনের প্রধান নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ফলে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারটিও উঠেছে তার হাতে।

বল হাতে ৯ ওভারে তিনিটি মেইডেন ওভার ও তিন উইকেট নিয়ে মাত্র ২৫ রান দিয়েছেন মিরাজ। আবার লক্ষ্য তাড়ায় ওপেনার তানজিদ তামিম ও লিটন দাস আউট হওয়ার পর হাল ধরেন তিনি। দলকে উইকেটে থিতু করে, স্কোরবোর্ডে শতরান পার করে তবেই ফেরেন এই অলরাউন্ডার। এর মাঝে অবশ্য নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৭৩ বল খেলে পাঁচটি চারের সাহায্যে ৫৭ রান করে ফেরেন তিনি।

সাকিবের কথাও না বললে নয়। আফগান টপ-অর্ডারের ভিত ভাঙেন মূলত তিনিই। বাংলাদেশকে প্রথম দু্ই উইকেট এনে দেয়ার পাশাপাশি মোট তিনটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। বল হাতে বাকি কাজ সেরেছেন মিরাজ, শরীফুল, মোস্তাফিজ আর তাসকিনরা। রান খরচার দিক থেকেও মিরাজের পরই সবচেয়ে কৃপণ সাকিব।

আফগানদের স্বলপুঁজির লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। রান আউট দিয়ে ইনিংস শুরু হয় টাইগারদের।

ফজলহক ফারুকির লেংথ ডেলিভারিটি কাভারে ঠেলে দিয়ে রান নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন লিটন দাস। ফলে অপরপ্রান্তে থাকা তানজিদ হাসান তামিম উইকেটের মাঝামাঝি চলে এসেছিলেন। কিন্তু বল ফিল্ডারের হাতে চলে যাওয়ায় ক্রিজ থেকে বের হনিন লিটন। আর তানজিদ ফেরার আগেই সরাসরি থ্রোতে উইকেট ভেঙে দেন নজিবউল্লাহ জাদরান। ফলে বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচেই রান আউটের তিক্ততা নিয়ে পাঁচ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় তরুণ এই টাইগারকে।

পরে লিটনও অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ফারুকির বলে খানিকটা সামনে এগিয়ে এসে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক না হওয়ায় ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে। লিটন ১৩ রান করে ফিরলে দলীয় ২৭ রানে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। তবে এখান থেকে দলকে টেনে তোলেন তিন ও চারে ব্যাট করতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

ব্যাট হাতে দুজনই পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। শান্ত অবশ্য অপরাজিত থেকেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।

আজ দুবার জীবন পেয়েছেন মিরাজ, কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি আফগান ফিল্ডাররা। তিনি ৫৮ রান করে ফিরেছেন। এরপর সাকিব-শান্তর ব্যাটেই জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। তবে শেষের দিকে ১৪ রান করে সাকিব আউট হয়ে গেলে মুশফিক এসে ইনিংস শেষ করেন। ফলে ৬ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।

এর আগে আগে ব্যাট করে ১৫৬ রানে অল-আউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। সাকিব ও মিরাজ ৩টি উইকেট নেন, আর শরীফুল নেন দুই উইকেট।

ব্যাটিংয়ে নেমেই বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধোনা করতে থাকেন রহমান উল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহীম জাদরান। ইনিংসের নবম ওভারে ইব্রাহীমকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব।

সাকিবের অফ স্টাম্পের বাইরের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে সুইপ করতে গিয়েছিলেন জাদরান। তবে ব্যাটে-বলে না হলে বল চলে যায় স্কয়ার লেগে তানজিদ তামিমের হাতে। রহমত শাহকেও বেশিদূর এগোতে দেননি সাকিব। তার টসড-আপ ডেলিভারিতে ক্রস দ্য লাইন খেলতে গিয়ে টপ এজ হয়ে আউট হন রহমত। নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে সহজ ক্যাচ নেন লিটন দাস।

দুই উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তানের হাল ধরেছিলেন হাসমতউল্লাহ শহীদি ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তবে শহীদিকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মিরাজ। মিরাজের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শহীদি। পরের ওভারে ৪৭ রান করা গুরবাজকে আউট করে আফগানদের টপ-অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন মোস্তাফিজ।

নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসেই ৫ রান করা নাজিবউল্লাহ জাদরানকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান সাকিব। পরের ওভারে মোহাম্মদ নবীকে বোল্ড করেন তাসকিন।

এরপর আফগানস্তানের লোয়ার অর্ডার চুরমার করেন মিরাজ ও শরীফুল।

৯ রান করা রশিদ খানকে বোল্ড করে নিজের পরের ওভারে মুজিব উর রহমানকেও বোল্ড করেন মিরাজ। মাঝের মাঝের ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে ২২ রানে ফেরান শরীফুল। নিজের পরের ওভারেই শেষ ব্যাটার নাভিন উল হককে ০ রানে আউট করে আফগানিস্তানকে গুটিয়ে দেন শরীফুল। অর্থাৎ শেষ চার ওভারের প্রতিটিতে একটি করে উইকেট নেন মিরাজ ও শরীফুল।

এ বিভাগের আরো খবর