বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাকিস্তানের বোলিং বিষে নীল নেদারল্যান্ডস

  •    
  • ৬ অক্টোবর, ২০২৩ ২১:৪৬

২৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২০৫ রানেই গুটিয়ে গেছে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস। ফলে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৮১ রানের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে স্কট এডওয়ার্ডসের দলকে।

২৮৬ রানে পাকিস্তানের সবগুলো উইকেট তুলে নিয়ে যে কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন ডাচ বোলাররা, তা কাজে লাগাতে পারলেন না ব্যাটাররা। পাকিস্তানি বোলিং তোপে উড়ে গেছে তাদের ব্যাটিং লাইন-আপ।

২৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২০৫ রানেই গুটিয়ে গেছে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস। ফলে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৮১ রানের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে স্কট এডওয়ার্ডসের দলকে। আর প্রথম ম্যাচেই বড় জয় তুলে নিয়ে নেট রান রেটেও অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছে পাকিস্তান।

দেখেশুনে শুরু করার পরও ষষ্ঠ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। হাসান আলীর ঘুর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ফলে দলীয় ২৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় ডাচরা। আরও পাঁচ ওভার যেতে না যেতেই ইফতেখার আহদেমের বলে বোল্ড হয়ে যান তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা কলিন অ্যাকারমান।

চতুর্থ উইকেটে ব্যাস ডি লিডকে নিয়ে বড় পার্টনারশিপের দিকে এগোতে থাকেন ওপেনার বিক্রমজিৎ সিং। মূলত এই জুটিতেই জয়ের স্বপ্ন বুনতে শুরু করে নেদারল্যান্ডস।

তবে স্কোরবোর্ডে এই জুটি ৭০ রান যোগ করার পর শাদাব খানের বলে হতাশ হন বিক্রমজিৎ। বিশ্বকাপে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার কিছু পরই ফিরে যেতে হয় তাকে। ৬৭ বলে ৫২ রান করে ফেরা বিক্রমজিতের ইনিংসটি চারটি চার ও একটি ছক্কার মারে সাজানো ছিল।

এরপর ব্যাট করতে আসার তেজা নিদামানুরুও দ্রুত বিদায় নেন। হারিস রউফের বলে তিনি পাঁচ রান করে ফিরলে একই ওভারে দুই বল পরই ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে আউট করেন রউফ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি এডওয়ার্ডস। তিনি ফিরে যাওয়ার পর নেদারল্যান্ডসের স্কোরবোর্ডের চেহারা তখন ১৩৩/৫।

তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন ডি লিড। ৫০ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরিটি তুলে নেন তিনি। কিন্তু ভালো সঙ্গের অভাবে কোনো বড় জুটি গড়তে পারেননি ডি লিড। শেষ পর্যন্ত এই ডাচ ব্যাটার ফেরেন ৬৮ বলে ৬৭ রান করে। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ২টি ছক্কা ও ৬টি চারের মার।

শেষের দিকে লোগান ভ্যান ডি বিক আক্রমণাত্মক খেলে রান তুলতে থাকলেও আর কোনো ব্যাটারই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। এক পাশে ২৮ রানে অপারিজত লোগানকে রেখে তার সতীর্থরা একে একে ফিরে যান। এক সময় সবাই আউট হয়ে গেলে সর্বশেষ ব্যাটারের সঙ্গে তাকেও মাঠ ছাড়তে হয়।

এর ফলে ৮১ রানের জয় দিয়ে এবারের বিশ্বকাপ আসর শুরু করল পাকিস্তান। এদিন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন হারিস রউফ। দুটি উইকেট পান হাসান আলী। একটি করে উইকেট পান শাহীন আফ্রিদি, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ নাওয়াজ ও শাদাব খান।

এর আগে পাকিস্তানের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপ জেনেও টস জিতে ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডের তাদের আগে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। এতে খানিকটা অবাক হয়েছিলেন অনেকেই।

তবে নিজেদের বোলিং নৈপুণ্যে বাবর আজমদের অল-আউট করে সেই সমালোচনাটির যোগ্য জবাব দেয় নেদারল্যান্ডস। ২৮৬ রানে ইনিংসের এক ওভার বাকি থাকতেই পাকিস্তানকে অল-আউট করে তারা।

মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সউদ সাকিল, দুজনের ৬৮ রানের ইনিংস দুটি ছাড়া বলার মতো রান করতে পারেননি পাকিস্তানি ব্যাটারদের কেউ।

আজ ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি পাকিস্তানেরও। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ফখর জামান। লোগান ভ্যান বিকের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে পুশ করতে চেয়েছিলেন ফখর, কিন্তু বল সোজা চলে চায় বোলারের হাতে। লোগানের ক্যাচ নিতে ভুল না হওয়ায় ১৫ বলে ১২ রান করে ফিরতে হয় ফখরকে।

ওয়ান ডাউনে অধিনায়ক বাবর আজম নেমেও সুবিধা করতে পারেননি। কলিন অ্যাকারমানের ঘুর্ণি না বুঝে পুল করতে যান তিনি। বলটি সাকিব জুলফিকার লুফে নিলে মাত্র পাঁচ রান করেই ফিরতে হয় পাকিস্তানের অধিনায়ককে। পরের ওভারেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আরেক ওপেনার ইমামুল হক। পল ভ্যান ম্যাকেরিনের বলে ফাইন লেগে থাকা আরিয়ান দত্তের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

এতে দশ ওভারের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। তবে দলকে এই বিপর্যয় থেকে টেনে তোলেন রিজওয়ান ও সাকিল।

এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে তুলেন রিজওয়ান ও সাকিল। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিল। তার পর রিজওয়ানও পান অর্ধ শতকের দেখা।

এই দুজনের ১২০ রানের জুটি অবশেষে ভাঙেন আরিয়ান। ৫২ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলা সাকিলকে বিদায় করেন তিনি। সাকিলের পর রিজওয়ানও উইকেটে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। তিনিও ব্যক্তিগত ৬৮ রানের মাথায় আউট হয়ে যান।

এরপর দ্রুত বিদায় নিয়েছেন ইফতিখার আহমেদ। বাস ডি লিডের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন ইফতিখার। ফেরার আগে স্কোরবোর্ডে ৯ রান যুক্ত করেন তিনি।

এরপর আরেকটি বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন শাদাব ও নওয়াজ। তারা দুজনে মিলে ৬৪ রান যুক্ত করার পর শাদাবকে ফেরান ডি লিড। এই পেসারের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন ৩২ রান করা শাদাব। পরে নওয়াজ সাজঘরে ফেরেন ৩৯ রান করে।

শেষ দিকে ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন শিাহীন শাহ আফ্রিদি। অন্যপ্রান্তে ১৬ রানের মাথায় হারিস রউফ আউট হয়ে গেলে অল-আউট হয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।

নেদারল্যান্ডসের হয়ে একাই চার উইকেট নেন ডি লিড। কলিন অ্যাকারমান দুবার উইকেটের দেখা পান।

এ বিভাগের আরো খবর