পাকিস্তানি ব্যাটিং লাইন-আপ জেনেও টস জিতে ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডের তাদের আগে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্তে খানিকটা অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। তবে নিজেদের বোলিং নৈপুণ্যে বাবর আজমদের অল-আউট করে সেই সমালোচনাটির যোগ্য জবাব দিয়েছে নেদারল্যান্ডস।
ডাচ বোলিং তোপে এ ওভার হাতে থাকতেই ২৮৬ রানে অল-আউট হয়ে মাঠ ছেড়েছে পাকিস্তান। এদিন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সউদ সাকিল, দুজনের ৬৮ রানের ইনিংস দুটি ছাড়া বলার মতো রান কেউ করতে পারেননি।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ফখর জামান। লোগান ভ্যান বিকের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে পুশ করতে চেয়েছিলেন ফখর, কিন্তু বল সোজা চলে চায় বোলারের হাতে। লোগানের ক্যাচ নিতে ভুল না হওয়ায় ১৫ বলে ১২ রান করে ফিরতে হয় ফখরকে।
ওয়ান ডাউনে অধিনায়ক বাবর আজম নেমেই সুবিধা করতে পারেননি। কলিন অ্যাকারমানের ঘুর্ণি না বুঝে পুল করতে যান তিনি। বলটি সাকিব জুলফিকার লুফে নিলে মাত্র পাঁচ রান করেই ফিরতে হয় পাকিস্তানের অধিনায়ককে। পরের ওভারেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আরেক ওপেনার ইমামুল হক। পল ভ্যান ম্যাকেরিনের বলে ফাইন লেগে থাকা আরিয়ান দত্তের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
এতে দশ ওভারের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। তবে দলকে এই বিপর্যয় থেকে টেনে তোলেন রিজওয়ান ও সাকিল।
এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে তুলেন রিজওয়ান ও সাকিল। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিল। তার পর রিজওয়ানও পান অর্ধ শতকের দেখা।
এই দুজনের ১২০ রানের জুটি অবশেষে ভাঙেন আরিয়ান। ৫২ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলা সাকিলকে বিদায় করেন তিনি। সাকিলের পর রিজওয়ানও উইকেটে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। তিনিও ব্যক্তিগত ৬৮ রানের মাথায় আউট হয়ে যান।
এরপর দ্রুত বিদায় নিয়েছেন ইফতিখার আহমেদ। বাস ডি লিডের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন ইফতিখার। ফেরার আগে স্কোরবোর্ডে ৯ রান যুক্ত করেন তিনি।
এরপর আরেকটি বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন শাদাব ও নওয়াজ। তারা দুজনে মিলে ৬৪ রান যুক্ত করার পর শাদাবকে ফেরান ডি লিড। এই পেসারের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন ৩২ রান করা শাদাব। পরে নওয়াজ সাজঘরে ফেরেন ৩৯ রান করে।
শেষ দিকে ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন শিাহীন শাহ আফ্রিদি। অন্যপ্রান্তে ১৬ রানের মাথায় হারিস রউফ আউট হয়ে গেলে অল-আউট হয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।
নেদারল্যান্ডসের হয়ে একাই চার উইকেট নিয়েছেন ডি লিড। কলিন অ্যাকারমান দুবার উইকেটের দেখা পেয়েছেন।