২০২৩ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডে বিপক্ষে দাপটের সঙ্গে জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। এবারের আসরের প্রথম ম্যাচেই ২৭১ রানের বিশাল জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে ও তরুণ ব্যাটার রাচিন রাবিন্দ্রা।
বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের হয়ে যেকোনো উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। নিউজিল্যান্ডের এর আগের রেকর্ডটি ছিল বর্তমান জুটির চেয়ে ১০৩ রান কম।
১৯৯৬ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৬৮ রানের জুটি লি গারমন ও ক্রিস হ্যারিস। সেটিই এতদিন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ব্ল্যাক ক্যাপসদের সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড ছিল।
তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটিটি ২০১১ সালের বিশ্বকাপের। সেবার ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও মার্টিন গাপটিল মিলে ১৬৬ রানের জুটি গড়েন।
মজার ব্যাপার হলো, কিউইদের বিশ্বকাপে বড় ইনিংসের প্রথম তিনটি রেকর্ডই হয়েছে ভারতের মাটিতে। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে চেন্নাইয়ে ১৬৮ রানের জুটি হয়েছিল। ২০১১ বিশ্বকাপে ম্যাককালাম-গাপটিল জুটিটি হয় আহমেদাবাদে। আর আজকের রেকর্ডটি হলো গুজরাটের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।
এ ছাড়া ২০১৯ বিশ্বকাপে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে ১৬০ রানের জুটি গড়েন কেইন উইলিয়ামসন ও রস টেইলর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তারা এ কীর্তি গড়েন। ১৯৭৫ সালে বার্মিংহ্যামে পূর্ব আফ্রিকার বিপক্ষে ১৪৯ রান তোলেন গ্লেন টার্নার ও জন পার্কার।
শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপের আসরে যেকোনো উইকেটে এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের জুটি।
২০১১ সালে পাল্লেকেলেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম উইকেটেই ২৮২ রানের অপরাজিত জুটি গড়েন শ্রীলঙ্কার উপুল থারাঙ্গা ও তিলকারত্নে দিলশান।
১৯৯৯ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন ভারতের দ্য ওয়াল খ্যাত কিংবদন্তি ব্যাটার রাহুল দ্রাবিড় ও কলকাতার যুবরাজ খাত সৌরভ গাঙ্গুলি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের টনটনে দ্বিতীয় উইকেটে শেকড় গজান রাহুল ও সৌরভ।
তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের জুটিটি আরও বড়। ৩৭২ রানের দৈত্যাকার জুটিটি ওয়েস্টইন্ডিজের ব্যাটারদের দখলে। আর এই রেকর্ডের সঙ্গে অমলিন হয়ে আছে মারলন স্যামুয়েলস ও ইউনিভার্স বস ক্রিস গেইলের নাম। ২০১৫ সালের অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে ক্যানবেরায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওই জুটি গড়ে সবাইকে ছাড়িয়ে যান গেইল ও স্যামুয়েলস। দ্বিতীয় উইকেটে ওই কীর্তি গড়েন তারা।