এশিয়ার কাপের ফাইনাল। ফাইনাল মানেই সেরা দুই দলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কিন্তু ভারতীয় পেসারদের সামনে এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে নিদারুণ অসহায় আত্মসমর্পণ করল শ্রীলঙ্কা।
ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর প্রথম ওভারেই দলকে উইকেট এনে দেন জশপ্রিত বুমরাহ। বাকি কাজটা সারেন মোহাম্মদ সিরাজ। তিনি একাই ছয় উইকেট নিলে মাত্র ৫০ রানেই গুটিয়ে গেছে লঙ্কানদের ইনিংস।
সিরাজের ৬ উইকেটের পাশাপাশি শেষের ৩ উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া। ফলে ১৫.২তম ওভারেই অলআউট হয়ে যায় কুশল মেন্ডিসের দল। অধিনায়ক কুশল দলকে টেনে নেয়ার শেষ চেষ্টা করলেও বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি।
প্রথম ওভারেই বুমরাহর প্রথম উইকেট নেয়ার পর ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে কোনো উইকেটের দেখা পাননি সিরাজ। তবে নিজের দ্বিতীয় ও ম্যাচের চতুর্থ ওভারে তাক লাগিয়ে দেন তিনি। ওই ওভারে চার উইকেট নেন তিনি।
ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে তিন স্লিপ নিয়ে বোলিং শুরু করেন সিরাজ। অফ স্টাম্পের বাইরের প্রথম ডেলিভারিটি ড্রাইভ করতে গিয়ে পয়েন্টে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ক্যাচ দেন পাথুম নিশাঙ্কা। পরের বল ডট। তৃতীয় বলের লাইন মিস করে লেগ বিফোর হয়ে ফেরেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। চতুর্থ বলে সিরাজের ফুলার লেন্থের ডেলিভারি পুশ করেন চারিথা আসালাঙ্কা। তবে ব্যাটে-বলে না হওয়ায় তা সোজা চলে চায় কাভারে ইশান কিশানের হাতে। পঞ্চম ডেলিভারতে হ্যাট্রিক পাননি তিনি। তবে ওভারের শেষ বলে ফুলার লেংথের ডেলিভারিতে ডিপ থার্ড ম্যান অঞ্চল দিয়ে উড়িয়ে মারতে আউটসাইড এজ হয়ে যান ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। উইকেটের পেছনে থাকা লোকেশ রাহুল সেটি গ্লাভসবন্দি করলে। চতুর্থ ওভার শেষে ১২ রানে পাঁচ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।
পরের ওভারটি মেইডেন নেন বুমরাহ। ফিরতি ওভারের চতুর্থ বলে দারুণ এক আউট সুইংয়ে দাসুন শানাকাকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান সিরাজ।
এরপর দুনিথ ওয়েল্লালাগেকে নিয়ে ক্রিজে থিতু হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কুশাল মেন্ডিস। তবে তাকেও বোল্ড করে শ্রীলঙ্কার প্রতিরোধের শেষ সম্বলটুকুও ভেঙে দেন সিরাজ।
পরে ওয়েল্লালাগেকে ফেরান হার্দিক। এরপর ১৫তম ওভারের প্রথম দুই বলে প্রমোদ মাদুশান ও মাথিসা পাথিরানাকে পরপর দুই বলে আউট করে ৫০ রানে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সমাধি করেন হার্দিক।