এশিয়া কাপ সুপার ফোর পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৬ রানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শুক্রবার বেলা ৩টার পর এই ম্যাচ শুরু হয়। শুরুতে চাপে পড়লেও তা সামলে এগোতে থাকে টাইগাররা।
৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে সব উইকেট হারিয়ে ৪৯ ওভার ৫ বলে ২৫৯ করে ভারত। খেলা শেষ হয় টানটান উত্তেজনায়।
বাংলাদেশের হয়ে তানজিম হাসান সাকিব নিয়েছেন ২ উইকেট, মুস্তাফিজুর রহমান ৩টি, সাকিব আল হাসান পেয়েছেন ১টি, মেহেদি হাসান ২টি আর মেহেদি হাসান মিরাজ পেয়েছেন একটি উইকেট।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত ১৩ রান নিয়ে মাঠে ছিলেন তানজিম হাসান সাকিব আর ২৯ রান নিয়ে ছিলেন মেহেদি হাসান। শেষ বল পর্যন্ত খেলে ভারতকে ২৬৬ রানের টার্গেট দেন তারা।
সাকিব আল হাসান ৮০, তৌহিদ হৃদয় ৫৪, শামিম হোসাইন ১, মেহেদি হাসান মিরাজ ১৩, তানজিদ হাসান ১৩, লিটন দাশ শুন্য, নাসুম আহমেদ ৪৪ এবং এনামুল হক ফিরেছেন ৪ রানে।
সুপার ফোরে নিজেদের আগের ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে একাদশ থেকে পাঁচটি পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ নাইম, মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলামের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ হয়েছে তানজিদ হাসান, এনামুল হক, মাহেদি হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসানের।
এ ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের ১৪৫তম ওয়ানডে ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয় পেসার তানজিমের। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর আবারও ওয়ানডে খেলার সুযোগ পান ওপেনার এনামুল।
সুপার ফোর পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে ২১ রানে হারলে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয় বাংলাদেশের।
এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত ৩৯টি ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-ভারত। এরমধ্যে ভারত ৩১ ম্যাচে এবং বাংলাদেশ ৭ ম্যাচে জয় পায়। ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
বাংলাদেশ একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ,তানজিদ হাসান, এনামুল হক, মাহেদি হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, সূর্যকুমার যাদব, তিলক ভার্মা, লোকেশ রাহুল, ইশান কিশান, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, শারদুল ঠাকুর, মোহাম্মদ সামি ও প্রসিদ্ধ কৃঞ্চা