এবারের এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ এলেই আসছে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি ভেসে যাওয়ার পর সুপার ফোরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আবার বৃষ্টি আসার শঙ্কায় রাখা হয় রিজার্ভ ডে। হয়েছেও তাই রোববার প্রথম ইনিংসের মাঝেই বাগড়া দেয় বৃষ্টি ফলে রিজার্ভ ডে’তে গড়ায় ম্যাচটি। তবে গ্রুপ পর্বের ম্যাচটিতে ভারতের ব্যাটারদের যেমন নাকানি-চুবানি খাইয়েছিলেন পাকিস্তানের বোলাররা, সুপার ফোরে এসে তার উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত।
রোববার বৃষ্টির আগে টস হেরে ভারতকে আগে ব্যাট করতে পাঠান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ওইদিন ২ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান সংগ্রহ করে ভারত। বিরাট কোহলি ৮ ও লোকেশ রাহুল ১৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন। তবে রিজার্ভ ডে’তে এই দুজনের ব্যাটে ভর করে পাকিস্তানকে পাহাড়সম লক্ষ্য দিয়েছে ভারত। গতকাল ভারত দুই উইকেট হারানোর পর আজ কোনো উইকেটের দেখাই পায়নি পাকিস্তানের বোলাররা। নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে ৩৫৬ রান তুলেছে ভারত। বিরাট কোহলি ৯৪ বলে ১২২ ও লোকেশ রাহুল ১০৬ বলে ১১১ রান করে অপরাজিত থেকে ইনিংস শেষ করেন।
রিজার্ভ ডে’তেও কলম্বোতে হানা দেয় বৃষ্টি। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী না হওয়ার পরও ভেজা মাঠের কারণে নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারেনি ম্যাচ। পরে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে শুরু হয় ম্যাচটি।
এদিন মাঠে নামার আগেই পেসার হারিস রউফের ইনজুরিতে পড়ার দুঃসংবাদ পায় পাকিস্তান। সাইড স্ট্রেইনের চোটে এই ম্যাচে আর বোলিং করতে পারেননি রউফ।
সোমবার মাঠে নেমে পাকিস্তানের বোলারদের কোনো সুযোগই দেননি রাহুল ও কোহলি। আগুনে ব্যাটিংয়ে ৬০ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন রাহুল। খানিক বাদে কোহলিও ৫৫ বলে পান হাফ সেঞ্চুরির দেখা। তবে সেঞ্চুরি পর্যন্ত পৌঁছাতে পরে মাত্র ৪০টি বল খেলেন রাহুল। আর কোহলি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৭৭তম সেঞ্চুরি তুলে নেন ৮৪ বলে।
সেঞ্চুরি করার পথে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৩ হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন কোহলি।
আগের দিন ব্যাটিংয়ে নেমেই ভারতকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। পাওয়ার প্লেতে ৬১ রান তোলেন এই দুই ব্যাটার। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর পাকিস্তানের বোলারদের ওপর আরও চড়াও হতে থাকেন হিটম্যান। ৪২ বলে অর্ধশতক তুলে নেন রোহিত। অন্যপ্রান্তে মাত্র ৩৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন গিল।
১৬.৪তম ওভারে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ভাঙেন শাদাব। ডানহাতি এই স্পিনারের ঝুঁলিয়ে দেয়া বলে এক্সট্রা কভার দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন রোহিত। তবে লং অফে শাদাবের হাতে ধরা পড়ে ৫৬ রানের মাথায় থামেন তিনি।
৮ বলের ব্যবধানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান গিলও। আফ্রিদির গুড লেংথ ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে আগা সালমানের হাতে ক্যাচ দেন তরুণ এই ওপেনার। ৫৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হন গিল। এরপর বৃষ্টির আগ পর্যন্ত ধীর ব্যাটিংয়ে উইকেটে থিতু হন কোহলি ও রাহুল।