এশিয়া কাপে এবারের আসরে বাঁচা মরার লড়াইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে বড় সংগ্রহের পথে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী মিরাজের ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই।
স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজ এর আগেও চাপের মুখে দলকে সামলে রেখেছেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দিয়েছেন আস্থার প্রতিদান। আফগান বোলারদের দারুণভাবে মোকাবেলা করে তুলে নিয়েছে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
ওয়ানডেতে প্রথমবার ওপেনিংয়ে নেমে দারুণ এক ইনিংস খেললেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১১৫ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করলেন তিনি। গত বছর ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে প্রথম শতক হাঁকান। ৪১তম ওভারে গুলবাদিন নাইবকে সিঙ্গেল মেরে সেঞ্চুরি উযদযাপন করেন ডানহাতি ব্যাটার। তার সাবলীল ব্যাটিংয়ের সুবাদে বাংলাদেশের হাতের নাগালেই ম্যাচ।
ব্যাট হাতে শুরুটা ধীরগতির হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে খোলস থেকে বের করে এনেছেন এই মেক শিফট ওপেনার। শুরুতে নাঈম শেখের সঙ্গে গড়েছেন ৬০ রানের জুটি। গত সাত ম্যাচ পর এটিই ছিল বাংলাদেশের পঞ্চাশ পেরুনো জুটি। সেইসঙ্গে আফগানদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটিও এটিই।
এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে বাংলাদেশ। একাদশে এনেছে তিন পরিবর্তন। ব্যাটিং অর্ডারেও এসেছে পরিবর্তন। তাতে ভালো শুরু পেয়েছে টাইগাররা। ওপেনার মেহেদী মিরাজ সেঞ্চুরি করেছেন। সেঞ্চুরির পথে আছেন নাজমুল শান্তও। তিন শ রানের পথে আছে দল।
ওয়ানডে দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান মিরাজ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন, দলের সবাই যখন হাল ছেড়ে দেয়, তখনও জয়ের চিন্তায় থাকে সে।
আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কার কাছে ৫ উইকেটে হেরে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে বাংলাদেশের। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি জয়ের কোনো বিকল্প নেই। সুপার ফোরে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর টিম টাইগারাও। যদিও এ ম্যাচে শুধু জিতলেই এখন চলবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে নানা সমীকরণের দিকেও।
বাংলাদেশ একাদশ: মোহাম্মদ নাইম, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, তৌহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, আফিফ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম।
আফগানিস্তান একাদশ: রাহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদি, নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি, করিম জানাত, গুলবদিন নাইব, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান ও ফজলহক ফারুকি।