বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেষ ওভারে নাটকীয়তা, জিতেছে বাংলাদেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৪ জুলাই, ২০২৩ ২২:৪৫

সিলেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচের শেষ ওভারে মিরাজ, তাসকিন আর হৃদয়কে শিকার করে হ্যাটট্রিক আদায় করে নিয়েছেন আফগান বোলার করিম জানাত। এমন নাটকীয়তার মাঝেই ২ উইকেটে ম্যাচটি জিতে নিয়েছে টাইগাররা।

শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৬ বলে ৬ রান। ইতোমধ্যে ওভারের কোটা পূরণ করে হয়ে গেছে রশিদ, মুজিব ও ফারুকির। শেষ ওভারে বল হাতে আক্রমণে আসেন করিম জানাত। প্রথম বলেই অফ-স্টাম্পের বাইরের বলকে মাঠছাড়া করেন মেহেদী মিরাজ।

এর আহেগ ১১তম ওভারের প্রথম বলে সাকিব আল হাসান প্যাভিলিয়নে ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৬৪ রান। তাওহিদ হৃদয় ও শামীম হোসেনের ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটি বাংলাদেশকে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে নেয়। ১৮তম ওভারে শামীম থামলেও সহজ জয়ের পথে ছিল স্বাগতিকেরা। শেষ ওভারেও সমীকরণটা ছিল ৬ বলে ৬ রান। প্রথম বলে চার মেরে মিরাজ সেটিকে নামিয়ে আনেন ৫ বলে ২ রানে।

এই সময়টাতে শুরু হয় নাটকীয়তা। মাত্র ২ রানের বাধা পেরুতে গিয়ে মিরাজ যেন তাড়াহুড়োই করলেন। এরপর ওয়াইড বলে ব্যাটের কানা লাগিয়ে কট বিহাইন্ড তাসকিন আহমেদ। অপর পাশে অসহায় দাঁড়িয়ে হৃদয়। এরপর জানাতের শর্ট বলকে পেছনে উড়িয়ে মারতে গিয়ে থার্ডম্যানের হাতে ধরা নাসুম। এর মধ্য দিয়ে করিম জানাতের হ্যাটট্রিক।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শেষ মুহূর্তে এমন নাটকীয়তা ভর করে। অবশ্য শেষ হাসিটা হেসেছে স্বাগতিক বাংলাদেশই। তবে সে জন্য ঘাম ঝরানোর পাশাপাশি টেনশনও ছিল ব্যাপক। বলতে গেলে সহজ ম্যাচকে কঠিন করেই জিতেছে টাইগাররা।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

টস জিতে সাকিব বলেন, ‘উইকেট ভালো। ৪০ ওভার ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে আমাদের। টি-টোয়েন্টি মোমেন্টামের খেলা। আফগানিস্তান ভালো দল। ওদের সঙ্গে খেলা চ্যালেঞ্জের, চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আমরাও। সিলেটের পিচে ক্যারি ও বাউন্স আছে, সেটি কাজে লাগাতে হবে আমাদের।’

বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে দিয়ে আক্রমণ শুরু করে বাংলাদেশ।

ইনিংসের অষ্টম বলেই উইকেট পেতে পারতো স্বাগতিকরা। তাসকিন আহমেদকে খেলতে গিয়ে বল বাতাসে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ। কভার পয়েন্ট থেকে দৌড়ে গিয়ে রনি তালুকদার দুর্দান্ত এক ক্যাচ তালুবন্দি করেও শেষ পর্যন্ত রাখতে পারেননি। ১ রানে জীবন পান গুরবাজ।

তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। তৃতীয় ওভারেই উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা। নাসুমের বলে স্কয়ার লেগে তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ধরা পড়েন হযরতউল্লাহ জাজাই। পরের ওভারেই তাসকিনের আঘাত। ডানহাতি এই পেসারের স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজকে ক্যাচ দেন একবার জীবন পাওয়া গুরবাজ। তিনি ১১ বলে করেন ১৬ রান।

এরপর ইব্রাহিম জাদরানকে তুলে নেন শরিফুল ইসলাম। আগের বলে ছক্কা হাঁকানো জাদরান ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক লিটন দাসকে। ৩২ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে আফগানরা। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে সফরকারীরা তোলে মাত্র ৪০ রান।

অষ্টম ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেট পান সাকিব। তার শিকার হন ৯ বলে ৩ রান করা করিম জানাত।

সেখান থেকে ৩৬ বল খেলে ৩১ রানের ধীরগতির এক জুটি গড়েন মোহাম্মদ নবি আর নাজিবুল্লাহ জাদরান। ১৪তম ওভারে এই জুটিটি ভাঙেন মিরাজ। টাইগার অফস্পিনারের বল নাজিবুল্লাহর (২৩ বলে ২৩) ব্যাট ছুঁয়ে গেলে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন লিটন। ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারায় আফগানরা।

এই পর্যায়ে এসে ঘুরে দাঁড়ায় আফগানরা। নবি আর আজমতুল্লাহ ওমরজাই দারুণ জুটি গড়েন। ষষ্ঠ উইকেটে তারা ৩১ বলে ৫৬ রান যোগ করেন দলীয় স্কোরে। ১৯তম ওভারে ওমরজাই সাকিবকে টানা দুই ছক্কা হাঁকান। ওই ওভারেরই শেষ বলে আরেকটি বিগ হিট নিতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে তাসকিনের ক্যাচ হন ওমরজাই। ততক্ষণে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ বলে ৩৩ রান, যার মধ্যে ৪টি ছক্কা রয়েছে।

অলরাউন্ডার নবি ৪০ বলে তার ৫৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ১টি ছক্কা।

বাংলাদেশি বোলারদের সবাই উইকেট পেয়েছেন। সাকিব ২৭ রানে ২টি আর তাসকিন ২৯ রানে নেন এক উইকেট।

একটি করে উইকেট নিয়েছেন নাসুম, শরিফুল, মোস্তাফিজ আর মিরাজও। এর মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন শরিফুল। ৩ ওভারে ৩০ রান দেন তিনি। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে খরচ করেন ৩১ রান।

বাংলাদেশের একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।

আফগানিস্তান একাদশ: রশিদ খান (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, হজরতউল্লাহ জাজাই, ইব্রাহিম জাদরান, মোহাম্মদ নবি, নজিবুল্লাহ জাদরান, করিম জানাত, মুজিব উর রেহমান, ফজলহক ফারুকি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, ফরিদ মালিক।

এ বিভাগের আরো খবর