আফগানিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা এড়াল বাংলাদেশ। ১৫৯ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা।
২৩ ওভার ৩ বলে ১২৯ রান তুলতে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারায়।
এর আগে আফগানরা ৪৫ ওভার ২ বলে ১২৬ রানে অলআউট হয়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের আচরণ ছিল দাপুটে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এ খেলা হয়। এতে টস হেরে প্রথমে বোলিংয়ে নামে টাইগাররা।
এ দিন তিন পেসার এবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় একাদশে সুযোগ হয় দুই পেসার তাসকিন-শরিফুল ও স্পিনার তাইজুলের।
এ পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য শুভ হয়ে ধরা দেয়। নির্বাচকদের মান রাখেন শরিফুল। তিনি ৯ ওভারে ২১ রানে ৪ উইকেট নেন। এ ছাড়া তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম দুটি করে উইকেট ফেলে আফগানদের বিপর্যয় নিশ্চিত করেন।
মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান শিকার করেন একটি করে উইকেট।
ব্যাটিংয়ে লিটন দাস ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। সাকিব আল হাসান করেন ৩৯ এবং তাওহিদ হৃদয় নিজেকে অপরাজিত রেখে করেন ২২ রান।
এ খেলায় শরিফুলের কৃতিত্বই ঘুরেফিরে আলোচনায়। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই বাংলাদেশের জন্য সুখবর আনেন শরিফুল। উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে ১ রানে বিদায় দেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইব্রাহিম জাদরান।
একই ওভারের পঞ্চম বলে রহমত শাহকে ফিরিয়ে টাইগারদের আবারও উইকেট শিকারের আনন্দে মাতান তিনি। মুশফিককে ক্যাচ দেয়া রহমত শাহ রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
শরিফুলের জোড়া আঘাতের পর প্রথম উইকেটের দেখা পান তাসকিন। নিজের তৃতীয় ওভারে আগের ম্যাচের আরেক সেঞ্চুরিয়ান রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ৬ রানে থামিয়ে দেন তাসকিন। আগের ম্যাচে ১৪৫ রান করেছিলেন গুরবাজ।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে শরিফুল আফগান শিবিরের মোহাম্মদ নবিকে ফেরান। রিভিউ নিয়েও উইকেটটি টেকাতে পারেননি নবি। ১ রান নিয়েই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
এতে যেন শরিফুল আরও দীপ্ত হয়ে উঠেন। অপরদিকে চাপে পড়ে আফগানিস্তান। এ চাপ শেষমেশ সামলাতে পারেনি আফগানরা।
বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংয়েও দারুন ছিল বাংলাদেশ। বিনিময়ে আসে বিজয়। কিন্তু এতে খুব একটা উল্লাসের সুযোগ নেই। কারণ, দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল আফগানরা। তাই এ খেলা আফগানিস্তানের জন্য বাংলাদেশকে ধবলধোলাইয়ের সুযোগ, অপরদিকে টাইগারদের মুখ বাঁচানোর লড়াই হয়ে উঠে।