আফগানিস্তানের রানের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েছে বাংলাদেশ। টাইগাররা এর আগে কখনও এত রান তাড়া করে জিততে পারেনি। তাই আজ জয় এলে তা দুই দেশের জন্যই ইতিহাস হয়ে রবে।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩১ রান করে আফগানরা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৫ ওভার ৫৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এতেই হারাতে হয়েছে তিন উইকেট।
বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে নামেন লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম। তামিম ইকবালের বদলে নাঈমকে নেয়া হয়।
১৩ রানে লিটনের সাজঘরে ফেরার পর মাঠে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ফেরেন ১ রানে। আর নাঈমের সংগ্রহ ৯ রান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শনিবার এ খেলা হচ্ছে। দিনের শুরুতে টস জিতে বাংলাদেশ। কিন্তু অধিনায়ক লিটন বোলিংকেই বেছে নেন। এতে আফগানিস্তানেরই পোয়াবারো হলো।
তবে আফগান আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারত। বাংলাদেশকে ডুবাতে পারত আরও লজ্জায়। কিন্তু প্রথম উইকেট হারানোর পর দিশেহারা হয়ে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি তারা।
৩৭তম ওভারের প্রথম বলে সাকিবের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে যখন ফিরছেন রাহমানুল্লাহ গুরবাজ, ততক্ষণে প্রথম উইকেট জুটিতে হয়ে গেছে ২৫৬ রান।
আফগানিস্তানের ক্রিকেটে যে কোনো উইকেটেই সর্বোচ্চ জুটি। বাংলাদেশের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ২০১৭ সালে হাশিম আমলা-ডি ককের অবিচ্ছিন্ন ২৮২ রানের জুটি ভাঙার খুব কাছেই চলে গিয়েছিল গুরবাজ-জাদরান জুটি।
কিন্তু সাকিবের বলে গুরবাজ আউট হওয়ার পরই গতি পাল্টে যায় ইনিংসের। ১২৫ বলে ১৩ চার ও ৮ ছক্কায় ১৪৫ রান করে ফেরেন গুরবাজ।
কিন্তু এরপর ৩ ওভারের মধ্যেই ১০ রানে আরও দুই উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এক প্রান্তে ওপেনার জাদরান অবশ্য ছিলেন, সেঞ্চুরির কাছেই ছিলেন, কিন্তু তার ব্যাটিংয়ের ধরনের কারণেই অন্যদের চাপে পড়তে হয়েছে। সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে জাদরানের ইনিংসের গতি আরও কমে যায়, তাতে ক্রিজে আসা অন্য নতুন ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপ পড়ে রানের গতি বাড়ানোর।
১৫ বলে ১০ রান করা নজিবুল্লাহ জাদরানও সে চাপেই ফিরলেন দলকে ২৮৬ রানে রেখে। এর কিছুক্ষণ পর জাদরানের সেঞ্চুরি হলো। মনে হচ্ছিল, ১১৮ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় করা সেঞ্চুরিটা করে জাদরান বুঝি আগ্রাসী হবেন। কিন্তু পরের বলেই আউট জাদরান! আফগানিস্তানের রান তখনো ৩০০ পার হয়নি। শেষ দিকে মোহাম্মদ নবীর ক্যামিওতে (১৫ বলে ১ চার ১ ছক্কায় ২৫) আফগানিস্তান ৩৩০ পেরিয়েছে।
শেষ বলেও উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ। ৯ উইকেটের সবগুলো বাংলাদেশের বোলাররা নিয়েছেন ৮৫ রানের মধ্যে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ১৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। শনিবার বাংলাদেশ হারলে সিরিজ আফগানিস্তানের।
এদিকে তামিম ইকবালের অবসর ঘোষণা সংক্রান্ত বিষয়ও বাংলাদেশের শিবিরে মানসিক প্রভাব ফেলতে পারে। এতে দল কিছুটা এলোমেলো হবে, এটাই স্বাভাবিক।
বোলিংয়ে ব্যর্থ বাংলাদেশ আফগান বোলারদে কতটা রুখতে পারবে, এটাই দেখার অপেক্ষা।