ব্যাটিং-বেলিংয়ে দুর্দান্ত প্রতাপ দেখিয়ে জয়ের জন্য আফগানিস্তানকে ৬৬২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।
দুই উইকেট খুইয়ে ৪৫ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছে আফগানরা। ফলে আরও ৬১৭ রান দরকার তাদের, আর বাংলাদের চাই ৮ উইকেট।
৬৬২ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি আফগানিস্তানের। ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান শরীফুল ইসলাম। এরপর দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে তাসকিন আহমেদের বলে লিটনকে ক্যাচ দেন আরেক ওপেনার আব্দুল মালিক। ফলে ১.৫ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৭ রান।
এর পরের দুই ব্যাটার রহমত শাহ ও আফগান অধিনায়ক হাসমাতুল্লাহ শহিদি দেখেশুনে খেলতে থাকলেও ষষ্ঠ ওভারে আবারও আফগান শিবিরে ধাক্কা। মাথায় চোট পেয়ে আহত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় শহিদিকে। তাসকিনের শর্টবল দেখে আগে থেকেই বসে পড়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু বলটি বেশি উপরে না ওঠায় শহিদির হেলমেটে গিয়ে লাগে। ক্রিজে চিকিৎসা দেয়া হলেও পরে আহত অবস্থায় তাকে ১৩ রান করে মাঠ ছাড়তে হয়।
এরপর তার পরিবর্তে নামা ব্যাটার নাসির জামালকে (৫) সঙ্গী করে দলীয় স্কোর ৪৫-এ তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেন রহমত শাহ (১০)।
দুই বছর পর টেস্ট খেলতে নামা আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রান করে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে থেমে যায় আফগানদের রানের চাকা।
লিড নিয়ে শুরু করা দ্বিতীয় ইনিংসে দ্যুতি ছড়ান বাংলাদেশের ব্যাটাররা। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয়টিতেও সেঞ্চুরি হাঁকান শান্ত।
জহির খানের ডেলিভারিতে আবদুল মালিকের তালুবন্দি হওয়ার আগে ১৫১ বল খেলে ১২৪ রান করেন তিনি। তাকে সঙ্গ দিয়ে অপরাজিত মমিনুল হক ১৪৫ বলে করেন ১২১ রান।
এর আগে মাহমুদুল হাসান জয় ১৭ রান করে আমির হামজার শিকারে পরিণত হন। অপর ব্যাটার জাকির হাসান সেঞ্চুরি করতে না পারলেও শান্তর সঙ্গে গড়েন ১৭৩ রানের জুটি। রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে দলের ঝুলিতে ৭১ রান যোগ করেন তিনি।
জহির খানের বলে ক্যাচ আউট হওয়া মুশফিকুর রহিম দুই অঙ্কের কোটা পার হতে পারেননি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে তিন বল খেলে ১ ছক্কাসহ ৮ রান করেন তিনি।
মুশফিক দ্রুত বিদায় নিলেও মুমিনুলের সঙ্গে উইকেটে পাকাপোক্ত অবস্থান তৈরি করেন অধিনায়ক লিটন দাস। ৮১ বল খেলে করেন ৬৬ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেট হারিয়ে ৪২৫ যোগ করে ইনিংস ঘোষণা করেন তিনি।
এর ফলে জয়ের জন্য ৬৬২ রানের বিশাল লক্ষ্য পায় আফগানিস্তান।