নওগাঁয় চলছে মরহুম আব্দুল জলিল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলা স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করে ক্রীড়া সংস্থা। এতে মুখোমুখি হন ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি ও নওগাঁ জেলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা।
এই আয়োজনে বাড়তি আকর্ষণ ছিলো ফুটবল মাঠে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের উপস্থিতি। ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে দেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সরবতার সুবাদে প্রায়ই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন এই আইনজীবী।
নওগাঁ জেলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার প্রীতি ম্যাচ শুরুর আগে নিজ দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ওয়ার্মআপ করেন ব্যারিস্টার সুমন। ছবি: নিউজবাংলা
খেলা শুরুর আগে মাঠে নেমেই গ্যালারিতে বসা দর্শকদের উদ্দেশে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘নওগাঁর আমের মতোই সুমিষ্ট এই জেলার মানুষগুলোর ব্যবহার। এটা জানা থাকলে আরও আগেই এ জেলা ঘুরে যেতাম। প্রায় ৬শ কিলোমিটার দূর থেকে খেলতে এসেও আমাদের খেলোয়াড়রা ক্লান্তি বোধ করছেন না। তবে জলিল ভাইয়ের নওগাঁর টিমকে হারানো কঠিন।’
জয়পুরহাট থেকে আসা শফিউল হক বলেন, ‘ফেসবুকে ব্যারিস্টার সুমনের প্রতিটি পোস্টে নজর রাখি। সমাজের দুর্নীতিবাজ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার তিনি। পাশাপাশি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য তিনি অনেক ভালো কাজ করেন। এটা দেখে আমিও ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা পাই। তাই গরমের মধ্যেও সুমন ভাইকে এক নজর দেখতে ছুটে এসেছি।’
বগুড়ার শান্তাহার থেকে এসেছেন তারেকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ফুটবল, ক্রিকেট সবকিছুই আমার পছন্দের খেলা। নিজেও ক্রিকেট খেলি। একজন আইনজীবী হয়েও সুমন ভাই দেশীয় ফুটবলকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এটা দেখে আমার খুবই ভালো লাগে। নওগাঁয় তিনি আসছেন জেনে চলে এলাম।’
গ্যালারি উপচে পড়া দর্শক উপস্থিতির বড় কারণ ছিল ব্যারিস্টার সুমনের উপস্থিতি। ছবি: নিউজবাংলা
নওগাঁ শহরের হাট নওগাঁ মহল্লা থেকে এসেছেন সুজন, সাকিব, নোহান, আশিকসহ অন্তত ৩০ জন। তারা বলেন, ‘টিভির পর্দায় এবং ফেসবুকে সুমন ভাইকে দেখেছি। এখন সামনাসামনি দেখতে পেয়ে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে। আজ স্টেডিয়ামে এতো দর্শকের উপস্থিতির বড় কারণ ব্যারিস্টার সুমনের উপস্থিতি।’