ভাবা হচ্ছিল তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই খেলা শেষ হয়ে যাবে। সেখানে দিন শেষে আম্পায়াররা যখন স্টাম্পের বেল ফেলে দিচ্ছেন, স্কোরবোর্ড তখন জানান দিচ্ছে আয়ারল্যান্ডের রান ৮ উইকেটে ২৮৬। তৃতীয় দিনের শুরুতে ১২৮ রানে পিছিয়ে থাকা আয়ারল্যান্ড দিন শেষে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ১৩১ রানে।
ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫০ রান করেছিলেন আইরিশ ব্যাটসম্যান হ্যারি টেক্টর। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন তার চেয়েও ৬ রান বেশি। দিনের শুরুতে তার সঙ্গী পিটার দ্রুত ফিরে গেলেও উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান লরকান টাকার তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে যান। বাংলাদেশের বোলারদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন তারা।
ষষ্ঠ উইকেটে টেক্টর-টাকারের জুটি থেকে আসে ৭২ রান। ব্যক্তিগত ৫৬ রানে তাইজুল ইসলামের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে টেক্টরের প্রতিরোধ ভাঙলেও টাকার খেলতে থাকেন স্বচ্ছন্দে। সপ্তম উইকেটে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের সঙ্গে গড়ে তোলেন ১১১ রানের জুটি। এর মাঝে ১৪৯ বলে নিজের প্রথম টেস্ট শতকের দেখা পান অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা টাকার।
শেষ পর্যন্ত ইবাদত হোসেনের বলে ব্যক্তিগত ১০৮ রানে যখন প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ব্যাটসম্যান, আয়ারল্যান্ডের লিড তখন ৭৯ রান। দিনের শেষভাগে টেস্টজুড়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে নজরকাড়া ম্যাকব্রাইনের হার না মানা ৭১ রানের ইনিংসে যা দিন শেষে গিয়ে ঠেকেছে ১৩১ রানে।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সেরা বোলিং তাইজুল ইসলামের। ৮৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট পেয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩ ওভার বোলিং করা অধিনায়ক সাকিব দ্বিতীয় ইনিংসে এখন পর্যন্ত ১৩ ওভার বোলিং করে ২৬ রান খরচায় পেয়েছে ২ উইকেট। একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন দুই পেসার ইবাদত এবং শরীফুল।
তিন দিনেই টেস্ট জেতার আশা জাগানো বাংলাদেশের জন্য চিত্রপট ক্রমেই কঠিন হচ্ছে। চতুর্থ দিনের সকালে আইরিশদের দ্রুত গুটিয়ে দিয়ে লক্ষ্যকে নাগালের মধ্যে রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের জন্য।