পুরান ঢাকার চকবাজার থানার সামনে অবৈধভাবে রাখা সারি সারি লেগুনা। তার পেছনে মোটরসাইকেল রাখেন ঢাকা ট্রিবিউনের ফটো সাংবাদিক মাহমুদ হোসেন অপু। মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করতে থাকেন লেগুনা চালক ও সহকারীরা। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে সিভিল পোশাকে হাজির হন চকবাজার জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) জায়েন উদ্দীন মুহাম্মদ যিয়াদ।
পুলিশের এই কর্মকর্তা তখন লেগুনা চালকদের সুরে বলেন, ‘বাইক সরাতে হবে। লেগুনার বিষয়টা আমি দেখবো।’ এ পর্যায়ে কমিউনিটি পুলিশের এক সদস্য সাংবাদিক অপুর মোটরসাইকেলটি টেনেহিঁচড়ে সরানোর চেষ্টা করেন। তখন অপু কমিউনিটি পুলিশের হাত ধরে থামান। এতেই ক্ষুব্ধ হন সহকারী কমিশনার যায়েদ। তিনি ঘুষি মারেন অপুর মুখ বরাবর।
শুক্রবার দুপুরে চকবাজার থানার সামনে ঘটেছে এই ঘটনা। মারধরের শিকার সাংবাদিক অপু ও একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে ঘটনার বিষয়ে সহকারী কমিশনার জায়েন উদ্দীন মুহাম্মদ যিয়াদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা কাউকে গাড়ি রাখতে দিচ্ছিলাম না। কারণ এই সময়ে যানজট তৈরি হয়। তখন একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আর উনি যে সাংবাদিক, সেটা উনি বলেননি বা গাড়ির সামনে প্রেস লেখা কোনো স্টিকারও ছিল না। আমি উনার গাড়ি সরাতে বলেছি। লেগুনাগুলোর বিরুদ্ধেও মামলা দেয়া হচ্ছিল।’
ভুক্তভোগী ফটো সাংবাবিদক অপু বলেন, ‘আমি নিজের পরিচয় দিয়েছি। কিন্তু তারা যখন কিছুতেই রাখতে দেবে না, তখন আমি গাড়ি সরাতে গেছি। আমি গাড়ি সরাতে সরাতে কমিউনিটি পুলিশের এক সদস্য বড় কর্মকর্তাদের দেখে হাম্বিতাম্বি শুরু করেন। আমার গাড়ি টানা-হেঁচড়া শুরু করেন। এই দেখে আমি কমিউনিটি পুলিশের হাত ধরি। সঙ্গে সঙ্গে সিভিলে থাকা এসি যায়েদ আমার মুখ বরাবর ঘুষি মারেন। পরে পুলিশের অন্য সদস্যরা তাকে টেনে নিয়ে যান।’
সাংবাদিককে ঘুষি মারার বিষয়ে লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এমন একটা ঘটনা আমিও শুনেছি। ওখানে নাকি একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমি জানার পর সাংবাদিক ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। ততক্ষণে তিনি চকবাজার থেকে চলে গেছেন। আমার এসি ও এডিসিকে সাংবাদিক অপু ভাইয়ের কাছে পাঠিয়েছি বিষয়টি সমাধানের জন্য।’