সিরিজের শেষ টি-২০তে ইংল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ। গত বছর বিশ্বকাপ জয়ের পর টাইগারদের কাছেই প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণে হোয়াইটওয়াশ হলো ইংলিশরা।
মঙ্গলবার ঢাকায় মিরপুরে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেয়া ১৫৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় সফরকারীরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সল্টকে শূন্য রানে ফিরিয়ে ইংলিশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন অভিষিক্ত তানভীর ইসলাম।
সল্টকে হারানোর পর ডেভিড ম্যালান-জস বাটলার জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ইংলিশরা। দ্বিতীয় উইকেটে জস বাটলারকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথেই রাখেন এই ওপেনার। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ মালান এ ম্যাচে ৫৩ রান করে মুস্তাফিজের বলে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ধরা পড়েন। মালান ফেরার পরের বলেই ৪০ রান করে আউট হন বাটলার। এরপর ৯ রান করা মঈন আলিকে মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। একই ওভারের শেষ বলে বেন ডাকেটকেও বোল্ড করেন এই পেসার।
১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই স্যাম কারানকে ফেরান বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান তোলে ইংল্যান্ড।
বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন নিয়েছেন দুটি উইকেট।
এর আগে মিরপুরে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ইংলিশদের ১৫৯ রানের টার্গেট দেয় টাইগাররা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারছিলেন না লিটন দাস। সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতেই ব্যর্থ ছিলেন এই ওপেনার। তবে শেষ ম্যাচে ৫৭ বল খেলে ১১ বাউন্ডারিতে ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তিনি। দলীয় ১৩৯ রানে ক্রিস জর্ডানের বলে ফেরেন লিটন।
এদিকে ব্যক্তিগত ১৭ রানের মাথায় নিশ্চিত জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি রনি তালুকদার। ইনিংসের অষ্টম ওভারেই আদিল রশিদকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ২২ বলে তিন চারে ২৪ রান করেন রনি। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৫ বল স্থায়ী ৫৫ রানের জুটি।
এরপর সময়ের সঙ্গে লিটনের সঙ্গী হন নাজমুল হোসেন শান্ত। শেষ পর্যন্ত ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
এ ম্যাচের একাদশে দুই পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। তানভীর ইসলামের অভিষেক হয় নাসুম আহমেদের জায়গায়। আর আফিফ হোসেনের জায়গা নেন শামীম পাটোয়ারী।