রান তাড়ায় নেমে বিপিএলের এলিমেনেটর ম্যাচে শামীম পাটোয়ারির ঝড়ো ফিফটিতে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। এতে সাকিব আল হাসানদের ফরচুন বরিশালকে বিপিএল থেকে বিদায় করে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চলে গেলেন নুরুল হাসান সোহানরা।
বিপিএলের মাঝপথে দুর্দান্ত দাপট দেখিয়েছিল ফরচুন বরিশাল। ওদিকে টানা কয়েক হারে ধুঁকছিল রংপুর রাইডার্স, কিন্তু টুর্নামেন্ট যত এগিয়েছে, ফর্ম তত ভালো হয়েছে রংপুরের।
রোববার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে মেহেদী হাসান মিরাজের ফিফটিতে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭০ করে বরিশাল।
১৭১ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারে উইকেট হারায় রংপুর। সাকিবকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের হাতে ধরে পড়ে শূন্য হাতে ফেরেন নাঈম শেখ। শুরুর ধাক্কা সামলাতে রনি তালুকদারের সঙ্গে জুটি গড়েন শামীম। পাওয়ার প্লেতে তারা তোলেন ৫৫ রান। অষ্টম ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ২৯ রানে আউট হন রনি, ভাঙে ৬১ রানের জুটি।
শামিম একপ্রান্তে হাত খুলে খেললেও অপর প্রান্তে সমর্থন দিতে পারেননি অধিনায়ক সোহান, ফেরেন ১৮ রানে। নিকোলাস পুরান করেন ৫ রান। ৩৬ বলে ফিফটি করা শামিম তবুও দলকে জয়ের পথে রাখেন। রংপুরের যখন ৩১ রান প্রয়োজন, তখন শামিম ফেরেন ৭১ করে। ৫৪ বলের ইনিংসটিতে ৪টি করে চার-ছক্কা ছিল। সুবিধা করতে পারেননি ডোয়াইন ব্রাভো। শেষ ২ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১৯ রান। দাসুন শানাকার ১২ বলে ১৬ ও শেখ মেহেদীর ৯ বলে ১৮ রানে ২ বল হাতে রেখেই জয়ের স্বাদ পেয়ে যায় রংপুর।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার মিরাজ ও আন্দ্রে ফ্লেচারের ব্যাটে ভালো শুরু পায় বরিশাল। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪৬ রান। আজ প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা ফ্লেচার ১৬ বলে ১২ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। তিনে নেমে মিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনেই হাত খুলে খেলে ৪৬ বলের জুটিতে তোলেন ৬৯ রান। শানাকার বলে মাহমুদউল্লাহ ৩৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ফেরেন।
৩৫ বলে অর্ধশতক করা মিরাজ রান তোলার গতি বাড়াতে গিয়ে আউট হন ৪৮ বলে ৬৯ রানে। ৯টি চার ও ১টি মারেন জাতীয় দলের অলরাউন্ডার। তবুও দেখা মেলেনি চলতি বিপিএলে দারুণ ব্যাট করা সাকিবের। রান এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব পান করিম জানাত ও ভানুকা রাজাপক্ষে। চতুর্থ উইকেটে তাদের ২৯ বলে ৪৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে ১৭০ করে বরিশাল। ২৫ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন করিম। ১০ বলে ১৭ রান করেন রাজাপক্ষে। রংপুরের হয়ে শানাকা ২ ও রাকিবুল হাসান ১ উইকেট নেন।