বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটি ছিল শুধুই নিয়মরক্ষার। যেখানে জিতলে পয়েন্ট টেবিলের একদম তলানি থেকে ওপরে ওঠার সুযোগ ছিল খুলনা টাইগার্সের। ফরচুন বরিশালের হারিয়ে সে সুযোগ কাজে লাগিয়েছে দলটি।
প্রথমবার বিপিএল খেলতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের ব্যাটিং ঝড়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৯ রান করে বরিশাল। রান তাড়ায় নেমে মাহমুদুল হাসান জয়ের অর্ধশতক ও হাবিবুর রহমান সোহানে ব্যাটিং তাণ্ডবে ৬ উইকেট ও ৩ বল হাতে রেখে সাকিব আল হাসানদের বিপক্ষে জয় পেয়েছে খুলনা। পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে থেকে বিপিএল শেষ করল তারা।
এই ম্যাচ ছাপিয়ে আলোচনায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট। লোডশেডিংয়ের কারণে সন্ধ্যায় ৭.০৬টা থেকে ৭.১৬টা পর্যন্ত খেলা বন্ধ ছিল। তার আগে এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে বরিশালের ইনিংস শুরু করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পুুরো বিপিএলে ব্যাট হাতে ছন্দহীন মাহমুদউল্লাহ আজও সুবিধা করতে পারেনি, থামেন ৯ রানে।
খুলনার বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৩৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি বরিশাল। তিনে নামা চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা এদিন আউট হন ১৪ রানে। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে নাহিদুল ইসলামের ওপর চড়াও হন সাকিব। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের ওভারে ২টি ছক্কা ও চারে ১৮ তোলে বরিশাল। যদিও সাকিবের ঝড় দ্রুতই থামান হাসান মুরাদ। বাঁহাতি স্পিনারের বলে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ২২ রানে নাসুমের হাতে ক্যাচ দেন সাকিব।
একই ওভারে ২৯ বলে ২৮ রান করে দলীয় ৭৭ রানে আউট হন বিজয়। ৪ উইকেট হারানোর পর বরিশালের হাল ধরেন প্রিটোরিয়াস ও ইব্রাহিম জাদরান। প্রিটোরিয়াস ঝড়ে এই জুটিতে আসে ৭০ রান। ২১ রান করা ইব্রাহিমের বিদায়ে ভাঙে তাদের এই জুটি।
ইনিংসের শেষ ওভারে ২৯ বলে ৪৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা প্রিটোরিয়াসকে ফেরান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ১৬৯ রানের পুঁজি পায় বরিশাল। খুলনার হয়ে ৪ উইকেট পান সাইফউদ্দিন।
রান তাড়ায় নেমে বরিশালের মতো ওপেনিং পরিবর্তন আনে খুলনা। অ্যান্ড্রু বালবার্নির সঙ্গে সাব্বির রহমানকে উদ্বোধন করতে নামেন। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ৬ বলে ২ রানে আউট হন সাব্বির। পাওয়ার প্লেতে শেষ পর্যন্ত ১ উইকেটে ৩৮ তোলে খুলনা। অধিনায়ক শাই হোপও ইনিংস বড় করতে পারেননি। থামেন ১৫ রানে। ওপেনিংয়ে নামা বালবার্নি ওয়ানডে মেজাজে খেলে ৩৩ বলে ৩৭ করেন।
১১ ওভারে ৭৬ রানে ৩ উইকেট হারানো খুলনার শেষ ৫৪ বলে প্রয়োজন ছিল ৯৪ রান। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন জয়। ইয়াসির আলী রাব্বির সঙ্গে গড়েন ৫৫ রানের জুটি। রাব্বী ফেরার আগে অবশ্য দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে খুলনার জয়ের আশা জাগিয়ে রাখেন জয়। শেষদিকে সোহানের ৯ বলে ৩০ রানের ঝড়ে জয় পায় খুলনা। ৪৩ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন জয়।