বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরে জয়ের ধারায় ফিরেছে রংপুর রাইডার্স।
পেসার রবিউল হক ও পাকিস্তানি ব্যাটার শোয়েব মালিকের নৈপুণ্যে তৃতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে রংপুর।
বল হাতে রবিউল ৪ উইকেট শিকারের পর মালিক ৩৬ বলে ৪৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। এতে করে জয়ের দেখা পায় দলটি।
প্রথম ম্যাচ জয়ের পর দ্বিতীয়টি হেরেছিল রংপুর। অন্যদিকে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচের সবগুলোতেই হারল খুলনা।
বিপিএল চট্টগ্রামের পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে স্থানীয় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
মাঠে নেমে পঞ্চম ওভারে ১৮ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় খুলনা। ওপেনার তামিম ইকবাল ১ ও পাকিস্তানের শারজিল খান ১২ রান করে আউট হন।
শুরুতে বিপদে পড়া খুলনাকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো পাকিস্তানের আজম খান ও অধিনায়ক ইয়াসির আলি, তবে বেশিদূর এগোতে পারেননি ইয়াসির ও আজম। ৩৪ রান আসে আজমের ব্যাট থেকে। আর ২৫ রান করেন ইয়াসির।
৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা। ১০০ রানের নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়া খুলনাকে শেষ পর্যন্ত সম্মানজনক সংগ্রহ এনে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও নাহিদুল ইসলাম।
অষ্টম উইকেটে ১৮ বলে ৩২ রান যোগ করে এ জুটি। তারপরও ২ বল বাকি থাকতে ১৩০ রানে শেষ হয় খুলনার ইনিংস। সাইফুদ্দিন ১৮ বলে ২২ ও নাহিদুল ৮ বলে ১৫ রান করেন।
সংক্ষিপ্ত ভার্সনে ক্যারিয়ারসেরা ৪ ওভারে ২২ রানে ৪ উইকেট নেন রবিউল। এ ছাড়া হাসান-ওমরজাই ও রাকিবুল দুটি করে উইকেট নেন।
১৩১ রানের টার্গেটে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরেরও। ৫ ওভারে ৩১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় দলটি।
উইকেটের পতন ঠেকিয়ে মোহাম্মদ নাইম ও পাকিস্তানের শোয়েব মালিক দলের হাল ধরেন। ৩০ রান আসে নাইমের ব্যাট থেকে।
পরের ৬ ওভারে দলকে ৩২ রান এনে দেন মালিক ও নুরুল। ধীরগতিতে খেলতে থাকা ১০ রান করা নুরুলকে ১৬তম ওভারের শেষ বলে ফেরান নাসুম।
নুরুলের ফেরার পর শেষ ১৮ বলে ৩৫ রান দরকার হয় রংপুরের। বাটের করা ১৮তম ওভারের শেষ তিন বলে সাত নম্বরে নামা শামিম হোসেন তিনটি চার মারলে ১৪ রান পায় রংপুর।
সাইফুদ্দিনের করা ১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে ১টি করে চার-ছক্কা মেরে পঞ্চম বলে আউট হন মালিক। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৬ বলে ৪৪ রান করেন তিনি।
ওয়াহাবের করা শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ১টি ছক্কার পর তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে রংপুরের জয় নিশ্চিত করেন আজমতুল্লাহ। শামিম ১০ বলে ১৬ ও আজমতুল্লাহ ৪ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
খুলনার সাইফুদ্দিন-ওয়াহাব ও নাসুম দুটি করে উইকেট নেন।