চলতি মৌসুমটা ভালো যাচ্ছে না ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসির। একের পর এক হারের ফলে পয়েন্ট টেবিলের ১০ নম্বরে নেমে গেছে দলটি। এমন অবস্থা থেকে উত্তরণে এবার আক্রমণে শক্তি বাড়াতে চায় ক্লাবটি।
এমন বাস্তবতায় আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে ধারে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে নিয়ে এলো পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড জোয়াও ফেলিশকে।
চেলসি বুধবার ক্লাবের ওয়েবসাইটে ২৩ বছর বয়সী ফেলিশকে ধারে দলে টানার খবর নিশ্চিত করে।
টুইটারে এ ফরোয়ার্ডের ক্লাব জার্সি পরা ছবি দিয়ে ক্যাপশনে চেলসি লিখেছে, ‘শিল্পী চলে এসেছেন। চেলসিতে স্বাগতম।’
পর্তুগালের এ ফরোয়ার্ডকে দলে ভেড়ানোর দৌড়ে এগিয়ে ছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের তিন জায়ান্ট ক্লাব, তবে আতলেতিকো মাদ্রিদের আর্থিক চাহিদা মেটাতে সম্মত না হওয়ায় হার মেনেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও আর্সেনাল। তাকে ধারে দলে ভিড়িয়েছে চেলসি।
পর্তুগালের ক্লাব বেনফিকায় ক্যারিয়ার শুরু করেন ফেলিশ। পরে ২০১৯ সালে তিনি যোগ দেন আতলেকিতো মাদ্রিদে, তবে চেলসিতে যোগ দেয়ার নতুন চুক্তির বেশি কিছু জানায়নি দুই ক্লাবের কেউই।
একটি সূত্র ইএসপিএনকে জানায়, ৬ মাসের জন্য আতলেতিকোকে ধার বাবদ ১ কোটি ১০ লাখ ইউরো দিচ্ছে চেলসি। সব প্রক্রিয়া শেষ করে বুধবার ফেলিশের দলে যোগ দেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছে লন্ডনের ক্লাবটি।
নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে ইংল্যান্ডে এসে দারুণ খুশি ফেলিশ। যোগ দিয়েই চেলসিকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
ফেলিশ বলেন, ‘চেলসি বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটি। আশা করি দলটির লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করতে পারব। এখানে আসতে পেরে আমি খুব খুশি। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দলটির হয়ে খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’
পর্তুগালের ক্লাব বেনফিকার হয়ে অভিষেক মৌসুমেই জিতেছিলেন শিরোপা। এরপর আতলেতিকোর হয়ে দুই মৌসুম আগে লা লিগা জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি।
২০১৯ সালে ইউরোপের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের খেতাব ‘গোল্ডেন বয়’ অর্জন করেন পর্তুগিজ তারকা ফেলিশ।
কাতার বিশ্বকাপে পর্তুগালের জার্সিতে একটি গোলসহ দুটি অ্যাসিস্ট করা ফেলিশ এ পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ২৮টি ম্যাচ।