সবশেষ ভারতের মাটিতে ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টিতে জয় পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। বেশ লম্বা সময় পর আবারও সেই পুনেতেই জয়ের দেখা পেল সফরকারীরা। এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ তে সমতায় ফিরল শ্রীলঙ্কা।
পুনেতে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কা জয় পায় ১৬ রানে। ২০৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রানের বেশি করতে পারেনি ভারত।
শ্রীলঙ্কার দেয়া ২০৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পরে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। টপ অর্ডার তিন ব্যাটার ইশান কিশান, শুভমান গিল ও রাহুল ত্রিপাঠি কেউই যেতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে।
পরে ব্যাট হাতে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন সুরিয়াকুমার ইয়াদভ। ৩ চার ও ৩ ছয়ে ৩৬ বলে ৫১ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন তিনি। অধিনায়ক পান্ডিয়া ও দীপক হুদার ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি এ ম্যাচে।
এ ছাড়া ৩ চার ও ৬ ছয়ে আক্সার প্যাটেলের ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৬৫ রান, তবে বাকিদের কেউই ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি এ দিনের খেলায়। শেষ পর্যন্ত ১৬ রানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ভারতের।
এর আগে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কার ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় শ্রীলঙ্কা। ৮ ওভারে ৮০ রান তোলে লঙ্কান এ দুই ব্যাটার। ঝড় থামিয়ে শুরুর জুটি ভাঙেন ইউজবেন্দ্র চাহাল।
দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি ভানুকা রাজাপাকসা ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। এর মধ্যে ৩৫ বলে ৩৩ রান করে বিদায় নেন নিশাঙ্কা।
লঙ্কান ব্যাটার চারিথ আসালাঙ্কা ৪ ছক্কায় ১৯ বলে ৩৭ রান করে উমরান মালিকের বলে আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন। পরের বলে তিনি ফিরিয়ে দেন ভানিন্দু হাসারাঙ্গাকে।
এরপর ঝড় তোলেন শানাকা। অপরাজিত থেকে ২২ বলে ৫৬ রানের মারকুটে ইনিংস খেলেন তিনি। এ যাত্রায় তিনি ২টি চার ও ৬টি ছয়ের মার মারেন। এতে করে ২০৬ রান তোলে দলটি।
ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন উমরান মালিক।
আগামী শনিবার রাজকোটে শেষ ম্যাচে হবে সিরিজের ফয়সালা। ভারতে টি-টোয়েন্টিতে হারের চক্র ভাঙার পর দেশটিতে সিরিজ জয়ের হাতছানি শানাকাদের সামনে।