‘পেলে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়, সে আমাদের অনুপ্রেরণা।’
পেলেকে শেষবিদায় জানাতে এসে কথাগুলো বলছিলেন তার ভক্ত অ্যান্টোনিয়ো পেরেইরা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের সাও পাওলো আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ফুটবল সম্রাট মারা যান। কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত পেলেকে নভেম্বরের শেষ দিকে হৃদযন্ত্রের সমস্যা ও শরীর ফুলে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অ্যান্টোনিয়ো জানান, ব্রাজিলের ফুটবল সম্রাটের মৃত্যুর খবর পেয়ে ১২ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন তিনি।
৪৬ বছর বয়সী এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমার আশা ছিল তার সঙ্গে আমি হয়তো একদিন ছবি তুলতে পারব।’
অ্যান্টোনিয়োর সঙ্গে থাকা ছেলে লুইস এদুয়ার্দো জানান, পেলের প্রতিভা সরাসরি দেখার সুযোগ না পাওয়ায় তার দুঃখ হয়, কিন্তু সব ব্রাজিলিয়ানের মতো পেলের অর্জনের কথা শুনে তিনি বেড়ে উঠছেন।
শুধু হাসপাতাল নয়, পেলে ভক্তরা ভিড় জমিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ক্লাব সান্তোসের স্টেডিয়ামেও। নিজের ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় পেলের এই ক্লাবটিতেই কেটেছে। ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর সান্তোসে পেলের মৃত্যুর পর সাত দিনের শোক ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া পেলের মৃত্যুতে ব্রাজিলজুড়ে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। পেলেকে শেষবিদায় জানাতে সাও পাওলোতে ভিড় করছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরাও।
বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয় করেছেন পেলে। তার কৃতিত্বেই বিশ্বে ফুটবলের জন্য আলাদা খ্যাতি পেয়েছে ব্রাজিল।
হাসপাতালের সামনে পেলেকে শেষবিদায় জানাতে আসা ৪৩ বছর বয়সী জোসে কার্লোস সুজা সান্তোস বলেন, ‘আমরা তাকে শেষবিদায় জানাতে এসেছি। আমার মনে হয় সবার আসা উচিত। ব্রাজিলের ফুটবলাররা তার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়েছে।’
পেলের খেলা সরাসরি দেখেছেন ৬৬ বছর বয়সী আলিপিও বেদাক। তিনি বলেন, ‘তার খেলা দেখার জন্যই মাঠে যেতে হয়েছে। খেলার মাঠে তিনি সব মনোযোগ কেড়ে নিতেন।’