জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো চাকরি হারাতে যাচ্ছেন, এমন গুঞ্জন চলছিল কিছুদিন ধরে। সেটি সত্যি না হলেও চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রোটিয়া এ কোচ।
ডমিঙ্গো মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র জমা দেন বিসিবির কাছে। বুধবার বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছে।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনূস নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আর এর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটল ডমিঙ্গোর বাংলাদেশ দলের তিন বছরের কোচিং অধ্যায়ের।
২০১৯ সালের ২২ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় দলের দায়িত্ব পান ডমিঙ্গো। সেটি বুঝে নিয়ে খুব একটা আশা জাগানিয়া পারফরম্যান্স দেখানো সম্ভব হয়নি এ কোচের।
২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের পর হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর অপসারণের দাবি উঠেছিল, কিন্তু প্রোটিয়া এ কোচ ছিলেন বহাল তবিয়তে।
গেল বিশ্বকাপের আগে টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব ডমিঙ্গোর কাছ থেকে নিয়ে নেয় বোর্ড। সে সময় শুধু টেস্ট দলের দায়িত্ব দেয়া হয় তাকে।
সাদা পোশাকেও কোচিং ঝলক দেখাতে ব্যর্থ হন ডমিঙ্গো। চলতি বছর তার একমাত্র অর্জন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়।
সবশেষ ভারতের বিপক্ষে টানা দুই টেস্টে হারের পর নড়েচড়ে বসে বিসিবি। ডমিঙ্গোর বিকল্প যে দরকার, সেই ভাবনা জোরদার হয় বোর্ডে।
জালাল বলেছিলেন, ‘কোচের যেন দলের ওপর ইমপ্যাক্ট থাকে, দলের মধ্যে তার ইনফ্লুয়েন্স থাকে, প্রভাব থাকে। আমাদের এই ধরনের কোচ দরকার।
‘আমার মনে হয় শিগগিরই আপনারা কিছু পরিবর্তন দেখতে পাবেন। দেখা যাক, চেষ্টা করছি আমরা।’
আর এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে জল্পনা শুরু হয় আপাতদৃষ্টিতে ব্যর্থ হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর পদ হারানো নিয়ে।
সে জল্পনা কল্পনাকে সত্য প্রমাণ করে হেড কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন প্রোটিয়া এ কোচ। তিন বছর চার মাসের সম্পর্ক ছিন্ন করে দেশে ফিরেন ডমিঙ্গো।