বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্বকাপের ফাইনাল বাতিলে আবেদন

  •    
  • ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৯:৪১

ফরাসীদের করা পিটিশনের পাল্টা জবাব দিতে আর্জেন্টাইনরা দাখিল করেছে আরেকটি পিটিশন। চেঞ্জ ডট ওআরজি সাইটে তারা সেই পিটিশনের নাম দিয়েছে, ‘ফ্রান্স কেঁদো না।’

কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে ৩৬ বছরের শিরোপা আক্ষেপ কাটিয়েছে আর্জেন্টিনা। আলবেসেলেস্তিনাদের হাতে বিশ্বকাপ তুলে দেয়ার মাধ্যমে আসরের সমাপ্তি টানা হলেও ফাইনালকে ঘিরে জন্ম নেয়া বিতর্কের সমাপ্তি টানা সম্ভব হচ্ছে না।

বিতর্কের শুরুটা হয় ফরাসীদের হাত ধরে। নির্ধারিত সময়ে আর্জেন্টিনার করা তিন গোলের প্রতিটি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে ফ্রান্সের সংবাদ মাধ্যমগুলো। রীতিমতো রেফারিকে ধুয়ে দেয়া হচ্ছে প্রতিটি সংবাদে।

প্রথম বিতর্কের জন্ম নেয় ম্যাচের ২৩তম মিনিটে আর্জেন্টিনার পাওয়া পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে। তাদের মতে ডি বক্সের ভেতর ওসমান দেম্বেলে কোনভাবেই ফাউল করেননি দি মারিয়াকে। আর তাই পেনাল্টির সিদ্ধান্তটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত ছিল বলে দাবি ফরাসী গণমাধ্যমের।

বিতর্ক দি মারিয়ার দ্বিতীয় গোল নিয়েও। ফ্রেঞ্চ গণমাধ্যমগুলোর দাবি এই গোলের আগে কিলিয়ান এমবাপেকে ফাউল করা হলেও সেটি এড়িয়ে যান রেফারি।

আর শেষ গোলের আগে মাঠে আর্জেন্টিনার ১৩ জন ফুটবলার মাঠে ছিল বলে দাবি করে তারা। একইসঙ্গে সেই গোলটি বাতিলেরও দাবি জানান।

আর এসকল কারণে ফিফার কাছে ফের ফাইনালের দাবি জানান ফরাসী সমর্থকেরা।

বিষয়টি শুধু দাবি জানানোর মধ্যই সীমাবদ্ধ রাখেনি তারা। অনলাইনে পিটিশনের প্ল্যাটফর্ম ‘মেসওপিনিয়নস’–এ বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ পুনরায় খেলার দাবিতে একটি পিটিশন করে বসেছেন তারা।

পিটিশনের নাম দেয়া হয়েছে- ‘রেফারিকে কিনে নেওয়া হয়েছিল, পেনাল্টিটি হয় না ‍+ দ্বিতীয় গোলের আগে এমবাপ্পে ফাউলের শিকার হয়। ম্যাচটি পুনরায় খেলার দাবিতে সই করুন।’

এদিকে ফরাসীদের করা পিটিশনের পাল্টা জবাব দিতে আর্জেন্টাইনরা দাখিল করেছে আরেকটি পিটিশন। চেঞ্জ ডট ওআরজি সাইটে তারা সেই পিটিশনের নাম দিয়েছে, ‘ফ্রান্স কেঁদো না।’

আর তার বিবরণে লেখা হয়েছ, ‘যেহেতু আমরা বিশ্বকাপ ফাইনাল জিতেছি, ফরাসিরা কান্না থামায়নি, অভিযোগ করে এবং মেনে নেয়নি যে আর্জেন্টিনা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই অনুরোধ ফরাসীদের জন্য কান্না থামিয়ে মেনে নেওয়ার জন্য যে মেসি ফুটবল ইতিহাসের সেরা ও এমবাপ্পেকে তার ছেলে হিসাবে রয়েছে।’

যদিও ফরাসীদের করা পিটিশনে ইতোমধ্যে সই করেছেন ২ লাখ ২০ হাজার জন। অপরদিকে মুহূর্তে মুহূর্তে বাড়ছে আর্জেন্টাইনদের করা পাল্টা পিটিশনে সইয়ের পরিমাণ। ইতোমধ্যেই আড়াই লাখ মানুষ সই করেছেন ‘ফ্রান্স কেঁদো না’ পিটিশনে। ৩ লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে সেটি।

হারের যন্ত্রণায় কাতর ফরাসী ফুটবল ভক্তদের পিটিশনের নজির এটিই প্রথম নয়।

এর আগে ইউরোর শেষ ষোলোতে সুইজারল্যান্ডের কাছে হারের পর পিটিশন করেছিলেন ফরাসীরা। পিটিশনের দাবি ছিল, কিলিয়ান এমবাপ্পে স্পটকিক নেয়ার সময় সুইস গোলকিপার ইয়ান সোমের গোললাইন ছেড়ে বের হয়ে এসেছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর