কাতার বিশ্বকাপে রেফারিং নিয়ে বিতর্ক ছিল শুরু থেকেই। বেশ কয়েকবার ম্যাচের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেফারিকে সমালোচনার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে বিভিন্ন একপেশে ও বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জেরে।
বিশ্বকাপের শেষটাও হয়েছে এমনই এক বিতর্কের মধ্য দিয়ে। ফাইনালে আর্জেন্টিনা টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর শিরোপা ঘরে তোলে। আর তাতেই ফরাসিদের তোপের মুখে পড়েন ম্যাচের দায়িত্বে থাকা রেফারি সাইমন মার্চিনিয়াক।
ফরাসি সংবাদমাধ্যমগুলো রীতিমতো ধুয়ে দেয় সাইমনকে। তারা দাবি করে, অতিরিক্ত সময়ে মেসির গোলটি বাতিল করা উচিত ছিল রেফারির। কেননা, সে সময় দুজন বদলি খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন। কিন্তু তার বদলে মাঠ থেকে দুজন উঠে যাননি তখনও। এ জন্য গোলটি বাতিল না করায় রেফারির সমালোচনা করে সংবাদমাধ্যমগুলো।
ফরাসি সংবাদমাধ্যমের এই তোপের মুখে বিশ্বকাপের পর থেকে বেশ চাপেই ছিলেন সাইমন মার্চিনিয়াক। তবে আর চুপ করে থাকলেন না ৪১ বছর বয়সী এই রেফারি। মেসির যে গোল বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে তার প্রসঙ্গ ধরে জবাবও দিয়েছেন পোলিশ রেফারি।
সাইমনের মতে, মেসির গোল যদি বাতিল হয় তবে একই নিয়মে এমবাপের গোলও বাতিল হয়ে যাবে। আর তার বক্তব্যের জের ধরে একটি ছবি প্রমাণস্বরূপ তিনি উপস্থাপনও করেন।
সাইমন বলেন, ‘ফরাসিরা এই ছবিটা নিয়ে কোনো কথা বলছে না। এখানে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, এমবাপের গোলের সময় সাতজন অতিরিক্ত ফ্রেঞ্চম্যান মাঠে ছিলেন।’
ফিফার তৃতীয় আইনের ৯ নম্বর ধারায় বলা রয়েছে, ‘যদি কোনো খেলোয়াড় গোল করেন আর ঠিক সেই সময় কোনো অতিরিক্ত ব্যক্তি (খেলোয়াড়, স্টাফ) মাঠে ঢুকে পড়েন, তাহলে রেফারি গোলটি বাতিল করতে পারবেন। গোল বাতিলের পর খেলা শুরু হবে ফ্রি কিকের মাধ্যমে।’
ফিফার এই নিয়ম অনুযায়ী যদি মেসির গোল বাতিল করতে হয় তাহলে সাইমনের প্রমাণ বলছে অবধারিতভাবে এমবাপেরও একটি গোল বাতিল হবে।