কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসির ১৮ বছরের বর্ণিল ক্যারিয়ারে এসেছে পূর্ণতা। শিরোপা খরা কাটিয়ে ৩৬ বছর পর মেসির হাত ধরে বিশ্বকাপের দেখা পেয়েছে আর্জেন্টিনা।
বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে পাকাপাকিভাবেই ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের সেরাদের তালিকায় ঢুকে গেছেন মেসি।
ফুটবলে সম্ভাব্য সব পুরস্কারই পেয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী এ তারকা। সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ব্যালন ডর জিতেছেন সাতবার। এত সব অর্জনের পর এই কিংবদন্তির পায়ের ছাপ সংরক্ষণ করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ব্রাজিলের বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়াম।
মেসিকে পায়ের ছাপ দিয়ে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) কাছে চিঠি পাঠিয়েছে মারাকানা স্টেডিয়ামের রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত ব্রাজিলের রাষ্ট্রীয় সংস্থা স্পোর্টস সুপারিনটেনডেন্ট।
সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট আদ্রিয়ানো স্যান্তোস চিঠিতে লেখেন, ‘মেসি এরই মধ্যে মাঠ এবং মাঠের বাইরে তার গুরুত্ব দেখিয়েছেন। তিনি এমন একজন খেলোয়াড়, যিনি বছরের পর বছর ধরে ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্তরে।
‘মারাকানা স্টেডিয়ামে তার কৃতিত্বকে সম্মান জানানোর চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না। মেসি বল পায়ে অসামান্য প্রতিভাবান এক ফুটবলার।’
ফুটবলে ব্রাজিলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল আর্জেন্টিনার সুপারস্টার লিওনেল মেসিকে আমন্ত্রণ জানালেও মারাকানার হল অফ ফেইমে জায়গা হয়নি আরেক ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার।
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে ‘হ্যান্ড অফ গড’ বিতর্কের কারণে এখানে রাখা হয়নি তার নাম।
মারাকানা স্টেডিয়ামের হল অফ ফেইমে অন্যদের মধ্যে রয়েছেন সেলেকাওদের পেলে, রিভেলিনো, গারিঞ্চা, ইউসেবিও, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, রোনালদো নাজারিও, চিলির এলিয়াস ফিগুয়েরোয়া, সার্বিয়ার দিয়ান পেতকোভিচসহ আরও অনেকের পদচিহ্ন।
ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে ১৯৫০ ও ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল হয়েছিল। ১৯৫০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উরুগুয়ের কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে যায় তখনকার স্বাগতিক দল ব্রাজিল। এর পর থেকেই এই স্টেডিয়ামকে ‘মারাকানাজো’ বা মারাকানার বিপর্যয় বলে থাকেন ব্রাজিলীয়রা।