বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে পারফরম্যান্সকে ভালো বলার কোনো অবকাশ নেই। শেষ ১০ টেস্টে জয় কেবল একটিতে। ৮ হারের পাশাপাশি একটি ম্যাচ হয়েছে ড্র। সবশেষ ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টেও হারকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।
চলতি বছরের শুরুটা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয় দিয়ে বাংলাদেশ শুরু করলেও লাল সবুজের প্রতিনিধিরা সে ধারা ধরে রাখতে পারেনি। পরের ম্যাচে ব্ল্যাকক্যাপদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশ।
সেই থেকে শুরু। চলতি বছরে আর একটি টেস্টেও জয় পায়নি টাইগাররা।
রঙিন পোশাকে ভারতকে হারালেও সাদা পোশাকে তাদের সামনে প্রথম টেস্টে সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিকরা। টেস্ট সিরিজ অন্তত ড্রয়ের দিকে নিয়ে যেতে হলেও ঢাকা টেস্টে জয় ভিন্ন পথ খোলা নেই স্বাগতিকদের সামনে।
এ রকম পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
চট্টগ্রামে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উইকেট ব্যাটারদের জন্য সহজ হয়ে উঠতে থাকলেও মিরপুরের উইকেট একেবারে আলাদা। ব্যাটারদের জায়গায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ থাকবে স্পিনারদের কাছে। সে কারণে শেষ টেস্টে ৩ স্পিনার ২ দুই পেইসার কম্বিনেশনে বোলিং পরিকল্পনার ছক একে রেখেছে বাংলাদেশ।
ঢাকা টেস্টে দলে পেইস ইউনিটের অন্যতম বড় দুই শক্তি এবাদত হোসেন ও শরিফুল ইসলাম না থাকায় স্বভাবতই কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে থাকবে স্বাগতিকরা। পেইস ডিপার্টমেন্ট সামলানোর দায়িত্ব পড়ছে তাসকিন আহমেদ ও খালেদ আহমেদের ওপর।
আশার কথা হলো, চট্টগ্রাম টেস্টে পাঁজর ও কাঁধের ইনজুরিতে ভোগা সাকিব ঢাকা টেস্টে দলের সঙ্গে থাকছেন। সাগরিকায় দ্বিতীয় ইনিংসে বল করতে না পারলেও সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তিনি মাঠে থাকছেন পুরো ফিট হয়েই।
স্পিন ইউনিটে তার সঙ্গী হিসেবে থাকছেন নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। শেরেবাংলায় সাকিব-জাদু দেখতে বেশ আশাবাদী জাতীয় দলের বোলিং পরামর্শক অ্যালান ডনাল্ড।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ডনাল্ড বলেন, ‘দলে তিন স্পিনারই থাকবে। তাসকিন দলে আসবে, খালেদও আছে। সুখবর হলো সাকিব ভালো অবস্থায় আছে। উইকেট দেখে মনে হচ্ছে, সাকিব এখানে খুব ভালো করবে।’
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির পর এখন পর্যন্ত ঘরের মাঠে কোনো টেস্টে জয়ের দেখা মেলেনি বাংলাদশের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই শেরেবাংলাতেই পাওয়া সেই জয়ের পর ১৬টি টেস্ট খেলা বাংলাদেশের অর্জন কেবল দুটি জয়।
এর একটি হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আর অপরটি মাউন্ট মঙ্গাইনুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। দুটি ম্যাচ হয়েছে ড্র, বাকি ১২টিতেই সাকিব বাহিনীর রয়েছে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ।