কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে হারানোর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটেছে আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের অপেক্ষার। ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক ফিফা বিশ্বকাপ যেন পূর্ণতা পেল লিওনেল মেসির হাত ধরে।
প্রায় তিন যুগ পর শিরোপার স্বাদ। স্বভাবতই আনন্দের মাত্রাটা বেশিই আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ভেতর। আর বিশ্বকাপজয়ীদের বরণ করে নিতে ইতোমধ্যেই প্রস্তুত রয়েছে বুয়েনস আইরেস।
শিরোপা নিয়ে ইতোমধ্যেই দেশে ফিরেছেন লিওনেল মেসিরা। এখন শুধুই অপেক্ষা দেশবাসীর সঙ্গে শিরোপাজয়ের উৎসবে মেতে ওঠার। আর বিশ্বকাপজয়ীদের সঙ্গে সেই উৎসবে মেতে উঠতে প্রস্তুত আর্জেন্টাইনরা। ঘোষণা অনুযায়ী, দেশটিতে আজ সাধারণ ছুটি।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকালে দেশে ফিরেছেন মেসি-দি মারিয়া-আলভারেসরা। সেখান থেকে সরাসরি আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের হেড কোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিশ্বকাপজয়ীদের। সেখানে বিশ্রামের পর সকালে শুরু হবে আনুষ্ঠানিকতা।
স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১২টায় বুয়েনস আইরেসের রাস্তায় নামবে মেসিদের বহনকারী ছাদখোলা বাস। ভক্ত-পরিবেষ্টিত সেই বাস ঘুরবে শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে।
ইতোমধ্যে শিরোপাজয়ীদের বরণ করে নিতে সাজানো হয়েছে পুরো শহর। লাখো মানুষ রাস্তায় নমে এসেছে শিরোপাজয়ীদের নিজ চোখে দেখতে। একই সঙ্গে সবাই উন্মুখ হয়ে আছে বিশ্বকাপজয়ীদের সঙ্গে উৎসবে মেতে উঠতে।
মূল উদযাপনটা হবে আর্জেন্টিনার ৪০০ বছরের পুরনো আইকনিক ও ঐতিহাসিক স্থাপনা ওবেলিসকোতে। এখানেই প্রথম আর্জেটিনার পতাকা টানানো হয়েছিল। ঐতিহাসিক সেই জায়গা পর্যন্তই যাবে মেসিদের বহর। এরপর তারা ফিরে আসবে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে। ফেরার আগে লাখো মানুষের সঙ্গে দল শিরোপাজয়ের উল্লাসে মেতে উঠবেন।
আর্জেটিনার সাবেক ফুটবলারদের বড় একটি অংশ থাকবেন বহরের সঙ্গে, এটা অনেকটাই নিশ্চিত। মেসিরা মূল ফোকাসে থাকলেও সাবেকদের উপস্থিতির বিষয়টি আরও মধুর করে তুলবে।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট বহরের সঙ্গে থাকবেন না। তিনি দলকে স্বাগত জানাবেন প্রেসিডেন্ট অফিস কাসা রোসাদায়। ভক্তদের দলের সঙ্গে উল্লাসে ব্যাঘাত যাতে না ঘটে, সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টাইন বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম।