লুসাইল স্টেডিয়ামে সাজানো হয়েছে জমকালো বিদায়ের মঞ্চ। দর্শকসংখ্যা ৮৯ হাজার ছুঁয়ে যাবে। ম্যাচ ঘিরে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ অধীর অপেক্ষায় ক্ষণ গুনছেন।
কাগজকলমে লুসাইল স্টেডিয়ামের ফাইনালে ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হলেও সবার চোখ থাকবে একজনের দিকেই লিওনেল মেসি।
ফুটবলের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়োজনের নায়ক হতে চলেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর। মেসির নৈপুণ্যেই ফাইনালে পৌঁছেছে আর্জেনটিনা। এখন ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘোচানোর অপেক্ষা।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে চলা বিশ্বকাপের সমাপ্তি ঘটবে ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভক্ত প্রিয় তারকার বিদায়টা স্মরণীয় রাখতে চাইছেন। ক্যারিয়ারে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি ছাড়া প্রায় সবকিছুই অর্জন করেছেন লিওনেল মেসি।
কাতারে আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচে মেসি গোল করেছিলেন। তবে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে হেরে যায় মেসির দল। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের।
সেমিতে গতবারের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষেও গোল করেছেন নাম্বার টেন। নকআউটে মেসি আরও তিনটি স্কোর করেন; অ্যাসিস্ট করেছেন একটিতে।
সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টাইনদের ম্যাচ শেষে মেসিকে নিয়ে ব্রাজিল সমর্থক মহম্মদ নাহাভি বলেন, ‘মেসি…মেসি…মেসি… কেবলই মেসি।
‘আমি ব্রাজিল সমর্থন করি। তবে মেসিকে ভালোবাসি। আসলে দলের ৯৯ দশমিক ৯ ভাগই হচ্ছেন মেসি; বাকিরা দশমিক ০১ শতাংশ। ওকে কেউ আটকাতে পারবে না।’
মেসির খেলা দেখতে চীন থেকে কাতারে এসেছেন ডং। তিনি বলেন, ‘মেসি মানেই নিখুঁত। তার মধ্যে আমরা সেই ঈশ্বরের (ম্যারাডোনা) মুহূর্তগুলো দেখতে পাচ্ছি। তাকে আপনি থামাতে পারবেন না কোনোভাবেই। আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হবে এবং মেসির হাতে ট্রফি উঠবে।’
Lionel Messi keeps etching his name into the World Cup history books 📚 pic.twitter.com/ebB5cU3oZ9
— B/R Football (@brfootball) December 13, 2022ফাইনালের আগে মেসির ১০ নম্বর জার্সির চাহিদা তুঙ্গে। কিছু দেশে সেই জার্সি আর পাওয়াই যাচ্ছে না। অনেক দেশে এখনও পাওয়া গেলেও স্টক সীমিত।
মেসির জার্সি প্রস্তুতকারক অ্যাডিডাস বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভক্তদের হাতে জার্সি তুলে দিতে তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
Lionel Messi with the assist of the tournament.pic.twitter.com/09eQcFQIWC
— Roy Nemer (@RoyNemer) December 13, 2022মেসির জন্মশহর রোসারিওর বাসিন্দা ফেদেরিকো বলেন, ‘তিনি (মেসি) বিশেষ একজন, সেরা একজন। মেসি মানে মেসিই। কেউ তার কাছ থেকে বল নিতে পারবে না। সে তার সেরা বিশ্বকাপ খেলছে। আমরা তাকে নিয়ে গর্বিত।’
টুর্নামেন্টে একবার হেরেছে ফ্রান্স। তবে তারা তৃতীয় দল হিসেবে পরপর বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে। এর আগে ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ সালে ইতালি এবং ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে ব্রাজিল টানা দুইবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।