সাগরিকা টেস্টে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ৫১৩ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে ভারত। প্রথম ইনিংসে ২৫৪ রানে লিড নিয়ে শুভমন গিল ও লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরিতে ভর করে ২ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা।
আর তাতেই বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১৩ রানের।
তৃতীয় দিনের শুরুতে ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৭১ রান, কিন্তু স্কোরবোর্ডে ১৭ রান যোগ করতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে ফলোঅনে না ফেলে ফের ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান নিয়ে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের খেলায় মেহেদি হাসান মিরাজ ও এবাদত হোসেন ব্যাট করতে নামেন। আগের দিনের ১৩ রানের সঙ্গে ৪ রান যোগ করে কুলদিপ ইয়াদভের বলে আউট হয়ে ফেরেন এবাদত।
এরপর আর বেশি সময় টিকটে পারেননি অলরাউন্ডার ব্যাটার মিরাজ। ৮২ বল খেলেও ২৫ রান করা মিরাজকে ফেরান আক্সার প্যাটেল। এতে করে ১৫০ রানেই গুটিয়ে যায় লিটন দাসের দল।
এর আগে ভারতকে মেহেদী মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের স্পিনে গুটিয়ে দিয়ে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। শূন্য রানে তাকে ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ।
স্বাগতিকরা দ্বিতীয় উইকেট হারায় তৃতীয় ওভারে। উমেশ ইয়াদভের বলে আউট হন ৪ রান করা ইয়াসির আলি।
তৃতীয় উইকেটে ৩৪ রান যোগ করে কিছুক্ষণ ধস সামাল দেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। ২৪ রান করা লিটনকে ফিরিয়ে সে জুটি ভাঙেন সিরাজ।
এরপর বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন কুলদিপ ইয়াদভ। একে একে তিনি ফেরান সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান সোহান, মুশফিকুর রহিম ও তাইজুল ইসলামকে।
এ স্পিনারকে সামলাতে না পেরেই ধসে পড়ে টাইগারদের ইনিংস। মুশফিক করেন সর্বোচ্চ ২৮ রান। নুরুলের ব্যাট থেকে আসে ১৬। আর সাকিব আউট হন ৩ রান করে।
ভারতের হয়ে ৪০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন কুলদিপ। আর ২০ রানে ৩ উইকেট নেন সিরাজ। উমেশ ইয়াদভ ও আক্সার প্যাটেল নেন একটি করে উইকেট।