বিশ্বকাপের শুরুতে মরক্কো সেমিফাইনালে খেলবে বললে অনেকে হয়তো হাস্যরস করতেন, কিন্তু আসরে আন্ডারডগ হয়ে আসা দলটির হাত ধরেই রচনা হয় ইতিহাস। আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে তারা ইতিহাস রচনা করে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলে।
ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ২-০ গোলে হারে মরক্কো। পুরো ম্যাচে দাপটের সঙ্গে খেললেও ভাগ্যের কাছে হার মানতে হয় তাদের।
দুর্দান্ত ডিফেন্স ও ভয়ানক কিছু আক্রমণে গেলেও শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের হারকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয় অ্যাটলাস লায়ন্সদের।
ম্যাচের শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও রণেভঙ্গ দেয়নি মরক্কো; বরং আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসেছিল তারা ফরাসিদের বক্সে।
পুরো ম্যাচে ৬২ শতাংশ সময় বল নিজেদের দখলে রেখে ফ্রান্সের জালমুখে ১৩টি শট নিলেও ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলের দেখা মেলেনি মরক্কোর। ম্যাচের পুরোটা সময় ফ্রান্সের তারকাসমৃদ্ধ শিবিরে বেশ কয়েকবার কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল অ্যাটলাস লায়নরা। সেই সঙ্গে তাদের বেশ সমীহ করে খেলতে দেখা যায় ফরাসিদের।
ম্যাচে জয় না পেলেও মরক্কো জয় করে নিয়েছে ভক্তদের হৃদয়। বিষয়টি বেশ গর্বের সঙ্গেই বলেছেন দলটির কোচ ওয়ালিদ রেদরাগুই।
নিজ দেশ তো বটেই পুরো বিশ্ব মরক্কোকে নিয়ে গর্বিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এমনটা করা অস্বাভাবিক নয়। কেননা নকআউট পর্ব নিশ্চিতের পর স্পেন, পর্তুগালের মতো হট ফেভারিট দলগুলোর বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে দেয়ার কারিগর মরক্কোই। নিজেদের শৈল্পিক ফুটবল দিয়ে তারা নজর কেড়েছে সবার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে মরক্কোর খেলার ভূয়সী প্রশংসা হয়।
ওয়ালিদ বলেন, ‘আমি মনে করি, পুরো বিশ্ব মরক্কো দলকে নিয়ে গর্বিত। কেননা আমরা নিজেদের সেরাটা দেখিয়েছি। আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি; সৎ ও পরিশ্রমী ফুটবল খেলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি ইতোমধ্যেই একটি দুর্দান্ত অর্জন করেছি। সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টেলিভিশনে যেসব ছবি এসেছে, তাতে আমরা দেখেছি দেশের সবাই আমাদের নিয়ে গর্বিত।’