২০১০ সালে আয়োজক দেশ হিসেবে ‘ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২’ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়ে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দেয় কাতার। বিশ্বকাপ উপলক্ষে তৈরি করা হয় আটটি নতুন স্টেডিয়াম।
বেশির ভাগ স্টেডিয়ামের আসনসংখ্যা কমিয়ে ফেলা হলেও নাইন সেভেন ফোর স্টেডিয়ামটি পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হবে বিশ্বকাপ শেষে। অনুদান হিসেবে কাতার সরকার এই স্টেডিয়ামটি কোনো একটি দেশকে দিয়ে দেবে।
সে সুযোগটি নিতে চায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। স্টেডিয়ামটি অনুদান হিসেবে পেতে কাতার দূতাবাসের মাধ্যমে বাফুফে এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাব আবেদন করেছে। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে কাতারের কাছে স্টেডিয়াম চেয়ে রেখেছি। একাধিকবার এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কথাও হয়েছে। এখন স্টেডিয়াম যদি পাওয়া যায় সেটা কোথায় স্থাপন করা হবে এই নিয়ে সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার আমরা কথা বলব যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে।’
এই স্টেডিয়ামটি পেতে অনুরোধ জানিয়েছে উরুগুয়ে ও মেক্সিকোও। ২০৩০ সালের যৌথ বিশ্বকাপ আয়োজনের চেষ্টায় আর্জেন্টিনা ও চিলির সঙ্গে উরুগুয়েও বিড করেছে। ফিফা স্টেডিয়ামটি আফ্রিকার কোনো দেশকে দেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের বেশ কিছু ম্যাচসহ মোট ৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে এই ভেন্যুতে। স্টেডিয়াম নাইন সেভেন ফোরে গ্রুপ পর্বের মেক্সিকো-পোল্যান্ড, পর্তুগাল-ঘানা, ফ্রান্স-ডেনমার্ক ও ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড, পোল্যান্ড-আর্জেন্টিনা ও সার্বিয়া-সুইজারল্যান্ডের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাজিল-কোরিয়া রাউন্ড অফ সিক্সটিনের ম্যাচটি শুধু এই ভেন্যুর শেষ ম্যাচ হিসেবে টিকে থাকবে ইতিহাসের পাতায়।
৪০ হাজার লোক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হয় দোহায়। ৯৭৪ নম্বরটি মূলত কাতারের আন্তর্জাতিক ডায়াল কোড। একই সঙ্গে স্টেডিয়াম নির্মাণে যে কনটেইনার ব্যবহার করা হয়েছে তার সংখ্যাও এটি প্রতিনিধিত্ব হয়েছে।
শিপিং কনটেইনার দিয়ে বাহ্যিক অবকাঠামো তৈরি হলেও এর কাঠামো দাঁড়িয়ে আছে স্টিলের ওপর। বসানো হয়েছে রিমুভেবল সিট। ম্যাচ শেষে যা খুলে ফেলা যাবে অবলীলায়। টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই স্থাপনা এক নতুন মাইলফলকের সৃষ্টি করেছে মধ্যপ্রাচ্য।