তিন ম্যাচের একটি হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ জয়। তাও আবার ভারতের বিপক্ষে।
দেশের মাটিতে সাত বছর পর এমন সিরিজ জয়ের নায়ক অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। বোলার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই তার মূল অবদান ব্যাটিংয়ে।
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে ব্যাটার হিসেবে খেললেও মিরাজের জাতীয় দলে পরিচিতি বোলার হিসেবেই। ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রমাণের জন্য অবশ্য খুব বেশি সু্যোগও পাননি তিনি।
ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে শেষ উইকেটে পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মিরাজ। দ্বিতীয় ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এতে করে ২৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের কাছেই সিরিজ হাতছাড়া করতে হয় রোহিত শর্মার দলকে।
টানা দুই ম্যাচে ম্যান অফ দ্য ম্যাচের স্বীকৃতিও নিজের করে নিয়েছেন মিরাজ। দারুণ এ পারফরম্যান্সের পর ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অলরাউন্ডার হওয়ার গল্প শুনিয়েছেন তিনি; জানিয়েছেন, ভালোর কোনো শেষ নেই।
তিনি বলেন, ‘আমার যখন ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে, তখন কিন্তু বোলার হিসেবেই হয়েছে টেস্ট থেকে। ব্যাটিং অনেক পরে করতাম। নিজেকে ওভাবেই মানসিকভাবে তৈরি করেছি। যেহেতু বোলিং ভালো হচ্ছে, ব্যাটিংয়েও সুযোগ পাচ্ছিলাম না। এখন তো অনেক পরিপূর্ণ হয়েছি; অনেকদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি। মানিয়ে নিয়েছি কীভাবে খেললে ভালো হবে। কোথায় উন্নতি করতে হবে সেসব নিয়েও কাজ করেছি।
‘সবসময় চেষ্টা করি কীভাবে নিজেকে দিন দিন উন্নতি করা যায়। শুরুর দিকে ব্যাটিং খুব খারাপ ছিল...কিন্তু ভালোর তো শেষ নেই। উন্নতির তো শেষ নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে গেলে আপনার ডে বাই ডে সবসময় উন্নতি করতে হবে। এ ছাড়া আপনি সফল হতে পারবেন না। তো নিজেকে ওভাবে মানসিকভাবে তৈরি করছি যে, কীভাবে ভালো করা যায়।’