ফিফা বিশ্বকাপের সুপার সিক্সটিনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের উদযাপন শেষ হতেই কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসকে নিয়ে ভাবনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার ক্রিস্টিয়ান রোমেরো।
বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতের ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ভাবনার কথা জানান।
নকআউট পর্বে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। এ ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেছেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও হুলিয়ান আলভারেস।
ম্যাচের শুরু থেকে দাপট দেখালেও শেষের দিকে কিছুটা ঢিলেঢালাভাবে খেলেন মেসি, আলভারেসরা। এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারত আস্ট্রেলিয়া, তবে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেসের দক্ষতায় তা আর হয়নি।
পেনাল্টি এরিয়া থেকে কুয়োলের শটটি দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন মার্তিনেস। এর বাইরে খুব একটা ভুগতে হয়নি দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাওয়া মেসি ও ডিফেন্ডার ক্রিস্তিয়ান রোমেরো।
আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসি বলেন, ‘এটি নিয়ন্ত্রিত ম্যাচ ছিল। মার্তিনেসের সেই সেভটি বাদ দিলে সম্ভবত আমরা খুব একটা ভুগিনি।
‘এটি খুবই পরিশ্রমসাধ্য ম্যাচ ছিল। এ জয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ায় আমি অনেক খুশি।’
সৌদি আরবের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের কিছুটা চিন্তায় পড়তে হয়েছিল। এ কারণে নটআউট পর্ব নিয়ে শঙ্কাও জেগেছিল লাতিন আমেরিকার দলটির। পরের দুই ম্যাচে অবশ্য দারুণ জয়ে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আলবিসেলেস্তেদের।
সংবাদ সম্মেলনে ডিফেন্ডার ক্রিস্তিয়ান রোমেরো সাংবাদিকদের বলেন, ‘ম্যাচ জয় অনেক আনন্দের। আর জয়ে পেতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আমরা দেখিয়েছি সব সময় সেরাটা দিয়ে কীভাবে খেলতে হয়।’
সৌদির বিপক্ষে হারটি আর্জেন্টিনা দলের জন্য শাপে বর হিসেবেই কাজ করেছে। এখান থেকে দল আরও শক্তিশালী হয়েছে বলেও মনে করেন ২৪ বছর বয়সী ডিফেন্ডার।
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ এটা আশা করেনি (সৌদির বিপক্ষে হার), কিন্তু ওই হারে আমরা মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী হয়েছি। ওই ম্যাচ হারের পর প্রতিটি ম্যাচই আমরা ফাইনাল ভেবে খেলেছি, সফলতাও পেয়েছি।
‘এটা একটা বিশ্বকাপ, সব দলই একটা লক্ষ্য নিয়ে এসেছে, কিন্তু ওই ম্যাচের পর আমরা দারুণভাবে উজ্জীবিত হয়েছি।’
নকআউট পর্ব শেষে কোয়ার্টার ফাইনালে আগামী শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা।
সে ম্যাচ নিয়ে রোমেরো বলেন, ‘নেদারল্যান্ডস খুব কঠিন প্রতিপক্ষ। আমরা সবাই জানি তাদের কেমন খেলোয়াড় আছে। এখন যা ঘটেছে, তা কয়েক ঘণ্টা উপভোগ করব। এরপর আমরা ভাবব নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কীভাবে খেলা যায়, তা নিয়ে। আমরা ২৬ জন যোদ্ধা; সবাই প্রস্তুত।
‘আমাদের দলটি তারুণ্যে ভরপুর। ম্যাচে জয় পেতে জীবন দিতেও প্রস্তুত। দলে তিন যোদ্ধা আছে, যারা আমাদের প্রাণ। প্রতিটি ম্যাচকে আমরা ফাইনাল হিসেবে দেখছি।’