কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা-অস্ট্রেলিয়া।
টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডে বেশ কয়েকটি ম্যাচ ড্র হলেও নকআউট পর্বে সে সুযোগ নেই। গোল সংখ্যা সমান হলে কিংবা নির্ধারিত সময়ে কোনো গোল না হলে টাইব্রেকারে হবে নিষ্পত্তি।
পরিসংখ্যান বলছে, নকআউট ম্যাচগুলোর টাইব্রেকে আর্জেন্টিনার জেতার রেকর্ডই বেশি।
নকআউট পর্বে এ পর্যন্ত পাঁচবারের টাইব্রেকে চারবারই জিতেছে দেশটি।
১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ইউগোস্লাভিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ১২০ মিনিট গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে ইউগোস্লাভিয়াকে ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারায় মেসির পূর্বসূরীরা।
ওই বিশ্বকাপেই সেমিফাইনাল ম্যাচ ইতালির সঙ্গে ১-১ ড্র হলে টাইব্রেকে ৪-৩ গোলের ব্যবধানে জেতে আর্জেন্টিনা।
১৯৯৮ সালে আবারও দ্বিতীয় রাউন্ডে টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা। এর আগে ২-২ গোলে তাদের নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয। টাইব্রেকারে হার্নান ক্রেসপো আর্জেন্টিনার হয়ে দ্বিতীয় কিকটি মিস করেন। ডেভিড ব্যাটি এবং পল ইনসের কিক ঠেকিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোল কিপার কার্লোস রোয়া। এতে ওই টুর্নামেন্টে এগিয়ে যায় দক্ষিণ আমেরিকার দলটি। এ ম্যাচে ৪-৩ গোলে টাইব্রেকে জেতে লা আলবিসেলেস্তেরা।
আর্জেন্টিনা পরবর্তী টাইব্রেকের মুখোমুখি হয় ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে। কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে টাইব্রেকে ৪-২ গোলে হারে তারা। এটি ছিল আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসির প্রথম বিশ্বকাপ। জার্মান গোলকিপার ইয়েনস লেহমান রবার্তো আয়ালা এবং এস্তেবান কাম্বিয়াসোর কিক ঠেকিয়ে দেন। এতেই নিশ্চিত হয়ে যায় জার্মানির সেমিফাইনাল।
আর্জেন্টিনা নকআউট পর্বে শেষ টাইব্রেকের মুখোমুখি হয় ২০১৪ সালে। ওই বছর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৪-২ গোলের ব্যবধানে জয় পায় আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টাইন গোলকিপার সার্জিও রোমেরো এ জয়ের নায়ক ছিলেন। তিনি রন ভ্লার এবং ওয়েসলি স্নাইডারের পেনাল্টি কিক ঠেকিয়ে দিলে ফাইনালে জায়গা করে নেয় আর্জেন্টিনা।