১৯৮৬-এর বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা দলকে লিড এনে দিয়েছিলেন অদ্ভুত এক গোল করে। হেড দিতে গিয়ে নিখুঁতভাবে হাতের কারসাজিতে বল জালে ঠেলে ডেডলক ভেঙ্গেছিলেন সাবেক এই ফুটবলার। ইতিহাসের পাতায় সেই গোলটি লেখা হয় ‘হ্যান্ড অফ গড’ নামে।
সেই থেকে বিশ্বকাপের প্রতি আসরেই আলোচনায় থাকে ম্যারাডোনার বিখ্যাত ওই গোল।
কাতার বিশ্বকাপে এসে ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অফ গডের’ মতোই এক গোলের জন্ম দিয়েছেন পর্তুগালের তারকা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো। তিনি গোল দিতে হাত ব্যবহার করেননি। গোল না পেলেও গোলের দাবি করে সমালোচনায় এসেছেন তিনি। এমন এক গোলের মালিকানা দাবি তিনি করেছেন যেটির সঙ্গে কোনভাবেই তার সম্পৃক্ততা নেই।
গত সোমবার উরুগুয়ের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এমনই এক বিতর্কে জড়ান রোনালডো।
ম্যাচের ৫৪ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজের গোলে লিড নেয় পর্তুগাল। উরুগুয়ের ডি বক্সের বাঁ-দিক থেকে উঁচু করে গোলবারের দিকে বল তুলে দিয়েছিলেন ব্রুনো। ডি বক্সে ঢুকে পড়ে লাফ দিয়ে সেটি জালে জড়ান রোনালডো। বল জালে জড়ানোর পরপরই উল্লাসে মেতে ওঠেন তারকা এই ফুটবলার।
শুরুতে দেখে মনে হয়েছিল হেড দিয়ে গোল করেছেন সিআর সেভেন। কার গোল সে বিষয়ে রেফারির সন্দেহ থাকায় তিনি সহায়তা নেন প্রযুক্তির। আর টিভি রিপ্লে দেখে বদলে যায় সিদ্ধান্ত।
সেখানে দেখা যায় বল রোনালডোর মাথা স্পর্শই করেনি। আর সে কারণে গোলটি ব্রুনো ফার্নান্দেজের নামের পাশে বসে। যদিও রোনালডোর দাবি ফার্নান্দেজের করা ক্রসটি মাথা ছুঁইয়ে গোল করেছেন তিনি।
এরপরই শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোনালদোকে নিয়ে সমালোচনা।
ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ফুটবলার ক্রিস সাটন বলেন, ‘ম্যারাডোনার হ্যান্ড অফ গড ভুলে যান। সময় এসেছে ক্রিশ্চিয়ানোর ‘হেয়ার অফ গড’ নিয়ে আলোচনা করার।’
এখানেই থেমে থাকেনি সমালোচনা। রীতিমতো ট্রল শুরু হয় তাকে নিয়ে। কেউ কেউ তো আবার এমনও পোস্ট করছেন যে, ফুটবলারদের উচিত নিজের চুলের দিকে নজর দেয়া। চুল ততটা বড় রাখার সময় এসেছে যতটা বড় করলে চুলের ছোঁয়াতেও গোল করা সম্ভব হয়।