ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে স্বাগতিক কোনো দেশ প্রথম ম্যাচে হারের স্বাদ পায়নি। এবারের বিশ্বকাপে হারকে মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে আয়োজক দেশ কাতারকে। এ ছাড়াও গ্রুপ পর্বের ৩ ম্যাচের কোনোটিতে জয় পায়নি দলটি।
সব শেষ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২-০ গোলে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করেছে স্বাগতিক কাতার।
বিশ্বকাপ আয়োজনে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশটি ২০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। ২০১৯ এশিয়ান কাপ জয়ের মাধ্যমে এশিয়া মহাদেশের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নয়, স্বাগতিক দেশের সুবিধা নিয়েই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলেছে কাতার।
সেনেগালের কাছে দ্বিতীয় ম্যাচে ৩-১ গোলের হারে নকআউট পর্বের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় তাদের। তৃতীয় ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে জয়শূন্য অবস্থাতে বিদায় নিতে হলো কাতারকে। এই তিন ম্যাচে তারা মাত্র একবার গোলের দেখা পেয়েছে।
২০১০ সালে সাউথ আফ্রিকার পর দ্বিতীয় স্বাগতিক হিসেবে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছে কাতার। ওই আসরে সাউথ আফ্রিকা মেক্সিকোর সঙ্গে ড্র করার পর ফ্রান্সকে হারিয়ে গোল ব্যবধানে শেষ ১৬তে খেলতে পারেনি।
১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপের পর থেকে বাকি ২২টি স্বাগতিক দেশ নকআউট পর্বে খেলেছে। স্বাগতিক দল এ পর্যন্ত ছয়বার শিরোপা জিতেছে ও দুইবার রানার্সআপ হয়েছে। সবশেষ ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স স্বাগতিক হিসেবে শিরোপা জয় করে।
বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশের রেকর্ড
২০২২: কাতার, গ্রুপ পর্ব২০১৮: রাশিয়া, কোয়ার্টার ফাইনাল২০১৪: ব্রাজিল, চতুর্থ স্থান২০১০: সাউথ আফ্রিকা, গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়২০০৬: জার্মানি, তৃতীয় স্থান২০০২: সাউথ কোরিয়া, চতুর্থ স্থান: জাপান, শেষ ১৬১৯৯৮: ফ্রান্স, চ্যাম্পিয়ন১৯৯৪: যুক্তরাষ্ট্র, শেষ ১৬১৯৯০: ইতালি, তৃতীয় স্থান১৯৮৬: মেক্সিকো, কোয়ার্টার ফাইনাল১৯৮২: স্পেন, দ্বিতীয় গ্রুপ পর্ব১৯৭৮: আর্জেন্টিনা, চ্যাম্পিয়ন১৯৭৪: পশ্চিম জার্মান, চ্যাম্পিয়ন১৯৭০: মেক্সিকো, কোয়ার্টার ফাইনাল১৯৬৬: ইংল্যান্ড, চ্যাম্পিয়ন১৯৬২: চিলি, তৃতীয় স্থান১৯৫৮: সুইডেন, রানার্সআপ১৯৫৪: সুইজারল্যান্ড, কোয়ার্টার ফাইনাল১৯৫০: ব্রাজিল, রানার্সআপ১৯৩৮: ফ্রান্স, কোয়ার্টার ফাইনাল১৯৩৪: ইতালি, চ্যাম্পিয়ন১৯৩০: উরুগুয়ে, চ্যাম্পিয়ন