মেক্সিকোর সঙ্গে ২-০ গোলের জয়ে বিশ্বকাপে দারুণভাবে ফিরে এসেছে আর্জেন্টিনা। স্বস্তির এই জয়ের পর পুরো স্কোয়াড নেচেগেয়ে উদযাপন করেছে ড্রেসিংরুমে। মেসিদের উল্লাসের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বিপত্তি বাধে ভিডিওর একটি দৃশ্যে। সেখানে দেখা যায় মেসি বসে আছেন, তার পায়ের নিচে মেক্সিকোর জার্সি। আর তাতেই খেপেছেন মেক্সিকোর বক্সার সাউল আলভারেস। তার দাবি উল্লাস করার সময় মেসি মেক্সিকোর জার্সিতে লাথি মেরেছেন।
লিওনেল মেসির উদ্দেশে করা এক টুইটে আলভারেস লেখেন, ‘ঈশ্বর না করুন! তিনি যেন আমার মুষ্ঠির বাইরে থাকেন।’
আর তাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। সবাই জার্সি অবমাননার অভিযোগ আনতে শুরু করে মেসির বিরুদ্ধে।বিষয়টিকে কোনভাবেই অবমাননার কাতারে ফেলছেন না সাবেক ফুটবলাররা। মেসির হয়ে আলভারেসকে জবাব দিয়েছেন সাবেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ফিলিপে মেলো, সাবেক আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড সার্হিও আগুয়েরো, স্প্যানিশ সাবেক তারকা সেস্ক ফাব্রেগাস।
আলভারেসকে জবাব দিয়ে ফিলিপে মেলো টিএনটি স্পোর্টসকে বলেন, ‘বক্সিং পছন্দ করায় সাউলকে শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু সে ফুটবলের কিছু বোঝে না। তাই চুপ থাকা উচিত। অন্যদের সম্মান দেওয়ার ক্ষেত্রে মেসির চেয়ে ভালো কেউ নেই। কোনো দলেই নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার বিপক্ষে অনেকবারই খেলেছি, প্রতিবারই তার কাছ থেকে সম্মান পেয়েছি। যে লোক মুখ খুলে আজেবাজে কথা বলে, তার (মেসি) সেসব কথার উত্তর দেওয়ার দরকার নেই।’
আলভারেসের টুইট রিটুইট করে আগুয়েরো লেখেন, ‘জনাব সাউল, কোনো সমস্যা আর অজুহাত টানবেন না। আপনি অবশ্যই জানেন না ফুটবল কী ও লকার রুমে কী হয়। জার্সিগুলো খেলার পর মাটিতেই পড়ে থাকে কেননা অতিরিক্ত ঘামে সেগুলো ভেজা থাকে। আপনি যদি ভালো করে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে সেটি বুট খোলার সময় পায়ে লেগেছে।’
ফাব্রেগাসও আলভারেসের টুইট রিটুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘আপনি তাকে চেনেন না। আপনি জানেনও না লকার রুমের পরিস্থিতি কেমন থাকে ম্যাচের শেষে। সব জার্সি খেলা শেষে মাটিতেই পড়ে থাকে। এমনকি আমাদেরগুলোও। পরে সেগুলো পরিষ্কার করা হয়।’