নিজেদের প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের বিপক্ষে ড্র করায় দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করতে ঘানার বিপক্ষে সাউথ কোরিয়ার জয় ছাড়া ভিন্ন রাস্তা খোলা ছিল না। আফ্রিকান দলটির বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়াটা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল এশিয়ান জায়ান্টদের। নক আউটে পৌঁছাতে হলে অন্য দলের ফল ও গাণিতিক মারপ্যাঁচের ভরসায় থাকতে হচ্ছে তাদের।
নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘানার বিপক্ষে তাদের হারতে হয়েছে ৩-২ ব্যবধানে। প্রথমার্ধে ২ গোলে পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরে কোরিয়া। কিন্তু ৬৮ মিনিটে ফের পিছিয়ে পড়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি এশিয়ানদের।
বল দখলের লড়াইয়ে কোরিয়া ম্যাচের শুরু থেকেই এগিয়ে থাকলেও প্রথম সফলতা পায় ঘানা। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ, প্রতিআক্রমণ চলে। কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মেলে ম্যাচের ২৪ তম মিনিটে। ডেডলক ভাঙ্গেন মোহাম্মদ সালিসু। জর্ডান এন্ড্রুর থেকে পাওয়া দুর্দান্ত এক ক্রসে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ঘানার এই ডিফেন্ডার।
ঠিক তার ১০ মিনিট পর ফের উল্লাসে মাতেন ঘানার দর্শকরা। এবারে ব্যবধান দ্বিগুণের নায়ক মোহাম্মদ কুদুস। এবারও এসিস্টে এন্ড্রু।
প্রথমার্ধের বাকিটা সময় তেমন কোন আক্রমণ করেতে না পারায় ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সাউথ কোরিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় কোরিয়া। সফলতা পেতে তাদের বেশি দেরি হয়নি। ম্যাচের ৫৮ মিনিটের মাথায় মাঝমাঠ থেকে পাওয়া বল ঘানার ২ ডিফেন্ডারের সঙ্গে লড়াই করে দখলে নেন লি কাং ইন। সেখান থেকে তিনি ক্রস করেন ডি বক্সে। বক্সে থাকা চো গুয়ে সাং দুর্দান্ত এক হেডে গোল এনে দেন কোরিয়াকে।
সেই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই ৬১তম মিনিটে ফের আক্রমণে যায় কোরিয়া। মাঝমাঠ থেকে এবারও বল পেয়ে যান লি। বল একদম কর্ণার লাইন অতিক্রম করার আগ মুহূর্তে ক্রস দেন ডি বক্সে। সেখানে থাকা চো দুর্দান্ত এক হেডে ফের খুঁজে নেন জালের ঠিকানা। আর তাতেই ৩ মিনিটের ঝড়ে ২-২ গোলে সমতায় ফেরে সাউথ কোরিয়া।
গোল হজমের ৭ মিনিটের মাথায় ফের এগিয়ে যায় ঘানা। বাম দিক থেকে আক্রমণে গিয়ে ডি বক্সে ক্রস দেন মেনসা। বক্সে থাকা ইনাকি উইলিয়ামস সেটি মিস করলেও গোল মিস করেননি কুদুস। নিজের দ্বিতীয় গোলে ঘানার সমর্থকদের তিনি ভাসান উল্লাসে।
৭৬ মিনিটে ঘানার বক্সে জোর আক্রমণ চালায় কোরিয়া, কিন্তু ব্ল্যাক স্টারদের দুর্দান্ত ডিফেন্স কোন বিপদ ঘটতে দেয়নি।
শেষ দিকে ঘানার পোস্টে টানা আক্রমণ চালালেও গোল বের করতে পারেনি কোরিয়া। যে কারণে ৩-২ গোলের হারকে সঙ্গী করেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।