কানাডার বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে পিছিয়ে পড়েছিল গত বিশ্বকাপের রানার আপ ক্রোয়েশিয়া। তবে, নিজেদের অভিজ্ঞতা ও নিঁখুত রণকৌশলে দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ফিরে ৪-১ গোলের জয় বাগিয়ে নিয়েছে লুকা মডরিচের দল। দলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন আন্দ্রেই ক্রামারিক।
খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে গ্রুপ-এফের এই ম্যাচে দ্বিতীয় মিনিটে গোল করে ক্রোয়াটদের ধাক্কা দেয় কানাডা। আলফনসো ডেভিস ৬৭ সেকেন্ডের মাথায় গোল করে বসেন। যেটি ছিল এই বিশ্বকাপের দ্রুততম গোল।
শুরুতে গোল হজম করে হকচকিয়ে গেলেও ম্যাচে ফেরার লড়াই শুরু করে ক্রোয়েশিয়া। অভিজ্ঞ লুকা মডরিচ ও ইভান পেরিসিচ ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন।
আধঘণ্টার কিছু পর পাসিং ফুটবল খেলার ফলে বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান পেরিসিচ। তার মাপা ক্রস থেকে গোল পেতে সমস্যা হয়নি বক্সে থাকা ক্রামারিকের।
ইয়োসিপ ইউরানোভিচ মাঝ মাঠের সামনে বল পাওয়ার পর তা নিয়ে ছুটে যেতে থাকেন কানাডার বক্সের দিকে। ডিফেন্সের ট্যাকলের মাঝেই মারকো লিভায়ার উদ্দেশে পাস ছাড়েন তিনি। লিভায়া বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে দলকে লিড এনে দেন।
কামব্যাক করে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ক্রোয়েশিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরে আসার মরিয়া চেষ্টা চালায় কানাডা। তাদের আক্রমণের ফলে কাউন্টার অ্যাটাকের জন্য মাঠে বাড়তি জায়গা পেয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া।
৭০ মিনিটে বক্সের বাম প্রান্ত দিয়ে করা পেরিসিচের ক্রস বক্সে থাকা ক্রামারিককে খুঁজে নেয়। ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করতে ভুল করেননি এ ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ইনজুরি টাইমে ব্যবধান আরও বাড়ায় ক্রোয়েশিয়া। কানাডার হাই লাইনে থাকা শেষ ডিফেন্ডার মিলারের ভুলে বল পেয়ে যান মিস্লাভ অরসিচ।
বল নিয়ে এক ছুটে বক্সে ঢুকে যান তিনি। কানাডার গোলকিপার তাকে গার্ড করতে আসলে সতীর্থ লভরো মায়েরের দিকে বল বাড়ান অরসিচ।
মায়ের কাছ থেকে গোল করে স্কোরলাইন ৪-১ করে দেন। এ জয়ে মরক্কোকে হঠিয়ে গ্রুপ-এফের শীর্ষস্থান দখল করল ক্রোয়েশিয়া।
আর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও হারতে হয়েছে কানাডাকে। ২ ম্যাচে তাদের অর্জন শূন্য। নক আউটে ওঠার আর কোনো সম্ভাবনা নেই তাদের।
সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ক্রোয়েশিয়া। মরক্কোর পয়েন্ট ৪ হলেও গোল পার্থক্যে তারা আছে দুইয়ে। ২ ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্ট নিয়ে বেলজিয়াম আছে তিনে।