৩৬ বছরের শিরোপা খরা ঘোচাতে কাতারে পা রাখে আর্জেন্টিনা। সঙ্গে ছিল অধিনায়ক লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপে স্মরণীয় করে রাখার বাড়তি আগ্রহ। প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হারের পর যেন পাল্টে যায় হিসাব-নিকাশ। ওই এক হারে যেন জাতীয় দুর্যোগ নেমে আসে আর্জেন্টিনায়। দেখা দেয় গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয়ার শঙ্কা।
দ্বিতীয় ম্যাচেই তালিসমান লিওনেল মেসির নেতৃত্বে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আর্জেন্টিনা। মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম পয়েন্ট শুধু নয়, অর্জন করেছে আত্মবিশ্বাসও।ম্যাচ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মেসি জানান, এখন আর সৌদি ম্যাচ নিয়ে ভাববার অবকাশ নেই। দলের এখন এগিয়ে যাওয়ার সময়।
মেসি বলেন, ‘এখন হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না। পুরো টুর্নামেন্ট পড়ে আছে। আর ভুল করা যাবে না। আমরা জানতাম দর্শক এমনভাবেই আমাদের সমর্থন দেবে। তাদের মর্যাদা রাখতে পেরেছি।’
মেক্সিকোর বিপক্ষে ৬৪ মিনিটে গোল করে ম্যাচের ডেডলক ভাঙেন মেসি। আর ৮৭ মিনিটে তার অ্যাসিস্ট থেকেই দ্বিতীয় গোল করেন এনজো ফার্নান্দেস।
এই ম্যাচে গোল করে কিংবদন্তি অধিনায়ক ডিয়েগো ম্যারাডোনার পাশে বসলেন মেসি। ২ নম্বর টেন-এর গোলসংখ্যাই এখন ৮। একই সঙ্গে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সে এক ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্টের রেকর্ডও করেন তিনি।তবে দলের এমন গুরুত্বপূর্ণ জয়ের পর ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে ভাবছেন না মেসি। তার দাবি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ মাত্র শুরু হলো।
মেসি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে নানা কারণে আমাদের হারতে হয়েছে। আমরা জানতাম আজকে জিততেই হবে ও কীভাবে জিতব সেটাও জানতাম। আজ আমাদের বিশ্বকাপ শুরু হলো।
‘মেক্সিকো শক্ত প্রতিপক্ষ। আমাদের কাজটা সহজ ছিল না। প্রথমার্ধে আমরা চাপ সয়ে গেছি। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা স্নায়ুচাপ সামলে নিয়েছি ও নিজেদের খেলাটা খেলতে পেরেছি।’