বিশ্বকাপের মিশনটা সেনগালের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করলেও নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের দেখা পেল না নেদারল্যান্ডস। ইকুয়েডরের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ডাচদের।
প্রথমার্ধে নেদারল্যান্ডস লিড নিলেও দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরে ইকুয়েডর। এরপর আর গোলের দেখা মেলেনি কারো। যে কারণে সমতায় সমাপ্তি আসে ম্যাচের।
বল দখলে ম্যাচের বেশিরভাগ সময় ডাচরা এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে অগ্রসর ছিল ইকুয়েডর। ম্যাচের ৫৫ শতাংশ সময় ডাচরা বলের দখল ধরে রাখলেও ইকুয়েডর বাকি সময়টাতে নেদারল্যান্ডসের গোলমুখে আক্রমণ চালায় ১৫ বার। বিপরীতে মাত্র দুইবার ডাচদের সুযোগ হয় প্রতিপক্ষের গোলের দিকে বল নেয়ার।
এই দুইবারের প্রচেষ্টার প্রথমবারেই সফল হয়েছিল নেদারল্যান্ডস। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই লিড নেয় তারা। গাকপো ডি বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়ে দলকে এগিয়ে দেন।
একইসঙ্গে নাম লেখান চলতি বিশ্বকাপের দ্রুততম গোলদাতা হিসেবে।
ব্যবধান বাড়ানোর মিশনে এরপর গোছানো আক্রমণ শুরু করে ডেভি ক্লাসেন- স্টিভেন বার্গুইনরা। কিন্তু সুবিধা করতে বারবারই ব্যর্থ হচ্ছিলেন তারা।
ম্যাচের ৩২ মিনিটে ভ্যালেন্সিয়ার শট দুর্দান্তভাবে রুখে দেন ডাচ গোলরক্ষক নোপার্ট।
তবে বিরতির বিরতির ১ মিনিট আগে সমতায় ফেরে ইকুয়েডর। কিন্তু সেখানে বাধ সাধে অফসাইড। যে কারণে গোলবঞ্চিত থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করতে হয় তাদের।
প্রথমার্ধে অফ সাইডে গোল মিসের শোক কাটাতেই যেন দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে পড়ে ইকুয়েডর। যার সুবাদে ৪৯তম মিনিটেই সমতায় ফেরে তারা।
গোল আসে সেই ভ্যালেন্সিয়ার সুবাদেই। তবে এবারে আর অফসাইডের ফাঁদে পড়তে হয়নি তাদের। যার ফলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ১-১ গোলে সমতা আসে ম্যাচে।
ম্যাচের বাকিটা সময় চলে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ। তাতে আসেনি ফলাফলে কোন পরিবর্তন। পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকে।